2 তারপর আমি আগুন মেশানো কাচের একটা সমুদ্রের মত দেখলাম, আর যারা সেই জন্তু ও তার মূর্তি এবং তার নামের সংখ্যার উপরে জয়লাভ করেছে তাদেরও দেখলাম। ঈশ্বরের দেওয়া বীণা হাতে করে তারা সেই কাচের সমুদ্রের ধারে দাঁড়িয়ে ছিল।
3 তারা ঈশ্বরের দাস মোশির এবং সেই মেষ-শিশুর এই গানটি গাইছিল:“সর্বশক্তিমান প্রভু ঈশ্বর,কত মহান ও আশ্চর্য তোমার কাজ!হে সমস্ত জাতির রাজা,কত ন্যায় ও সত্য তোমার পথ!
4 প্রভু, কে না তোমাকে ভয় করবে?কে না তোমার নামের গৌরব করবে?কেবল তুমিই তো পবিত্র।সমস্ত জাতি তোমার কাছে আসবে,সবাই তোমার উপাসনা করবে;কারণ তোমার ন্যায়বিচার প্রকাশিত হয়েছে।”
5 এর পরে আমি দেখলাম, স্বর্গে সেই উপাসনা-ঘরটা, অর্থাৎ সাক্ষ্য-তাম্বুটা খোলা হল।
6 তখন সেই সাতজন স্বর্গদূত সাতটা আঘাত নিয়ে উপাসনা-ঘর থেকে বের হয়ে আসলেন। তাঁদের পরনে ছিল পরিষ্কার ঝক্ঝকে কাপড় আর বুকে বাঁধা ছিল সোনার পটি।
7 সেই চারজন জীবন্ত প্রাণীর একজন সেই সাতজন স্বর্গদূতকে সাতটা সোনার বাটি দিলেন। ঈশ্বর, যিনি যুগ যুগ ধরে চিরকাল জীবিত আছেন, সেই বাটিগুলো তাঁর ক্রোধে পূর্ণ ছিল।
8 ঈশ্বরের মহিমা ও শক্তি থেকে যে ধূমা বের হচ্ছিল সেই ধূমায় উপাসনা-ঘরটা পূর্ণ হল। সেই সাতজন স্বর্গদূতের সাতটা আঘাত শেষ না হওয়া পর্যন্ত কেউ সেই উপাসনা-ঘরে ঢুকতে পারল না।