1 পরে খুব ভোরে বালাক বালামকে নিয়ে গিয়ে বালের উচ্চস্থলীতে উঠলেন। সেই স্থান থেকে সে (ইসরাইল) জাতির অংশ বিশেষ দেখতে পেল। আর বালাম বালাককে বললো, আপনি এই স্থানে আমার জন্য সাতটি কোরবানগাহ্ তৈরি করুন এবং এই স্থানে আমার জন্য সাতটি ষাঁড় ও সাতটি ভেড়ার আয়োজন করুন।
2 তাতে বালামের কথা অনুসারে বালাক সেরকম করলেন; তখন বালাক ও বালাম এক একটি কোরবানগাহে এক একটি ষাঁড় ও এক একটি ভেড়া কোরবানী করলেন।
3 পরে বালাম বালাককে বললো, আপনি আপনার পোড়ানো-কোরবানীর কাছে দাঁড়িয়ে থাকুন। আমি যাই, হয়তো মাবুদ আমার কাছে দেখা দেবেন; তা হলে তিনি আমাকে যা জানাবেন তা আমি আপনাকে বলবো। পরে সে পর্বতের উপরে গমন করলো।
4 তখন আল্লাহ্ বালামকে দেখা দিলে সে তাঁকে বললো, আমি সাতটি কোরবানগাহ্ প্রস্তুত করেছি; আর এক একটি কোরবানগাহে এক একটি ষাঁড় ও এক একটি ভেড়া কোরবানী করেছি।
5 তখন মাবুদ বালামের মুখে একটি কালাম দিয়ে বললেন, তুমি বালাকের কাছে ফিরে গিয়ে এরকম কথা বল।
6 তাতে সে তাঁর কাছে ফিরে গেল; আর দেখ, মোয়াবের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বালাক তাঁর পোড়ানো-কোরবানীর কাছে দাঁড়িয়ে ছিলেন;
7 তখন সে তার দৈববাণী গ্রহণ করে বললো,বালাক অরাম দেশ থেকেআমাকে আনালেন,মোয়াবের বাদশাহ্ পূর্ব দিকের পর্বতমালাথেকে আনালেন;এসো, আমার জন্য ইয়াকুবকেঅভিশাপ দাও,এসো, ইসরাইলকে বদদোয়া দাও।
8 আল্লাহ্ যাকে অভিশাপ দেন নি,আমি কিভাবে তাকে অভিশাপ দেব?মাবুদ যাকে বদদোয়া দেন নি,আমি কিভাবে তাকে বদদোয়া দেব?
9 আমি শৈলের শৃঙ্গ থেকে ওকে দেখছি,পাহাড়গুলো থেকে ওকে দর্শন করছি;দেখ, ঐ লোকেরা স্বতন্ত্র বাস করে,ওরা জাতিদের মধ্যে গণিত হবে না।
10 ইয়াকুবের ধূলি কে গণনা করতে পারে?ইসরাইলের চতুর্থাংশের সংখ্যা কে নির্ণয়করতে পারে?ধার্মিকের মৃত্যুর মত আমার মৃত্যু হোক,তার শেষ গতির মত আমার শেষগতি হোক।
11 তখন বালাক বালামকে বললেন, আপনি আমার প্রতি এ কি করলেন? আমার দুশমনদেরকে বদদোয়া দিতে আপনাকে আনালাম; কিন্তু দেখুন, আপনি তাদেরকে সর্বতোভাবে দোয়া করলেন।
12 সে জবাবে বললো, মাবুদ আমার মুখে যে কথা দেন, সাবধান হয়ে তা-ই বলা কি আমার উচিত নয়?
13 বালাক বললেন, আরজ করি, অন্য স্থানে আমার সঙ্গে আসুন, আপনি সেই স্থান থেকে তাদেরকে দেখতে পাবেন। আপনি তাদের প্রান্তভাগ মাত্র দেখতে পাবেন, সম্পূর্ণ দেখতে পাবেন না; ঐ স্থান থেকে আমার জন্য তাদেরকে বদদোয়া দিন।
14 তখন বালাক তাকে পিস্গার শৃঙ্গস্থিত সোফীম মাঠে নিয়ে গিয়ে সেই স্থানে সাতটি কোরবানগাহ্ তৈরি করলেন, আর প্রত্যেক কোরবানগাহে এক একটি ষাঁড় ও এক একটি ভেড়া কোরবানী করলেন।
15 পরে সে বালাককে বললো, আমি যতক্ষণ ঐ স্থানে মাবুদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করি, ততক্ষণ আপনি এই স্থানে আপনার পোড়ানো-কোরবানীর কাছে দাঁড়িয়ে থাকুন।
16 পরে মাবুদ বালামের কাছে দেখা দিয়ে তার মুখে একটি কালাম দিলেন এবং বললেন, তুমি বালাকের কাছে ফিরে গিয়ে এরকম কথা বল।
17 তাতে সে তাঁর কাছে উপস্থিত হল; আর দেখ, মোয়াবের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বালাক তাঁর পোড়ানো-কোরবানীর কাছে দাঁড়িয়ে ছিলেন। আর বালাক তাকে জিজ্ঞাসা করলেন, মাবুদ কি বললেন?
18 তখন সে তার দৈববাণী গ্রহণ করে বললো,উঠ, বালাক, শোন;হে সিপ্পোরের পুত্র, আমার কথায়কান দাও;
19 আল্লাহ্ মানুষ নন যে, মিথ্যা বলবেন;তিনি মানুষের-সন্তান নন যে, অনুশোচনাকরবেন;তিনি যা বলেছেন তা কি করবেন না?তিনি যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, তা কি সিদ্ধকরবেন না?
20 দেখ, আমি দোয়া করার হুকুম পেলাম,তিনি দোয়া করেছেন, আমি অন্যথাকরতে পারি না।
21 তিনি ইয়াকুবের মধ্যে অধর্ম দেখতেপান নি,ইসরাইলের মধ্যে জুলুম দেখেন নি;তার আল্লাহ্ মাবুদ তার সহবর্তী,বাদশাহ্র জয়ধ্বনি ওদের মধ্যবর্তী।
22 আল্লাহ্ মিসর থেকে ওদের এনেছেন;সে ষাঁড়ের মত শক্তিশালী।
23 নিশ্চয়ই ইয়াকুবের বিরুদ্ধে কোনমায়াশক্তি,বা ইসরাইলের বিরুদ্ধে কোন মন্ত্র কার্যকরহবে না;এখন ইয়াকুবের ও ইসরাইলের বিষয়বলা যাবে,আল্লাহ্ কি না সাধন করেছেন।
24 দেখ, ঐ জাতি সিংহীর মত উঠছে,সে সিংহের মত গাত্রোত্থান করছে;সে শয়ন করবে না, যতক্ষণ না নিহত পশুভোজন করে,যতক্ষণ না নিহত লোকদের রক্তপান করে।
25 তখন বালাক বালামকে বললেন, আপনি ওদেরকে বদদোয়াও দেবেন না, দোয়াও করবেন না।
26 কিন্তু বালাম উত্তরে বালাককে বললো, মাবুদ আমাকে যা যা বলবেন, তা-ই করবো, এই কথা কি আপনাকে বলি নি?
27 পরে বালাক বালামকে বললেন, আরজ করি, আসুন, আমি আপনাকে অন্য স্থানে নিয়ে যাই; হয়তো সেই স্থান থেকে আমার জন্য তাদেরকে আপনার বদদোয়া দেওয়া আল্লাহ্র দৃষ্টিতে সন্তোষজনক হবে।
28 পরে বালাক মরুভূমির অভিমুখে পিয়োর-শৃঙ্গে বালামকে নিয়ে গেলেন।
29 বালাম বালাককে বললো, এই স্থানে আমার জন্য সাতটি কোরবানগাহ্ তৈরি করুন এবং এই স্থানে আমার জন্য সাতটি ষাঁড় ও সাতটি ভেড়ার আয়োজন করুন।
30 তখন বালাক বালামের কথানুযায়ী কাজ করলেন এবং প্রত্যেক কোরবানগাহে এক একটি ষাঁড় ও এক একটি ভেড়া কোরবানী করলেন।