1 পরে ইসরাইল শিটীমে বাস করলো, আর লোকেরা মোয়াবের কন্যাদের সঙ্গে জেনায় লিপ্ত হল।
2 সেই কন্যারা তাদেরকে তাদের দেবতার প্রসাদ ভোজনের দাওয়াত করলো এবং লোকেরা ভোজন করে তাদের দেবতাদের কাছে সেজ্দা করলো।
3 আর ইসরাইল বাল্-পিয়োর (দেবতার) প্রতি আসক্ত হতে লাগল; অতএব ইসরাইলের বিরুদ্ধে মাবুদের ক্রোধ প্রজ্বলিত হল।
4 মাবুদ মূসাকে বললেন, তুমি লোকদের সমস্ত নেতাকে সঙ্গে নিয়ে মাবুদের উদ্দেশে সূর্যের সম্মুখে ওদেরকে টাঙ্গিয়ে দাও; তাতে ইসরাইলের উপর থেকে মাবুদের প্রচণ্ড ক্রোধ নিবৃত্ত হবে।
5 তখন মূসা ইসরাইলের বিচারকর্তাদেরকে বললেন, তোমরা প্রত্যেকে বাল-পিয়োরের প্রতি আসক্ত নিজ নিজ লোকদেরকে হত্যা কর।
6 আর দেখ, মূসা ও বনি-ইসরাইলদের সমস্ত মণ্ডলীর সাক্ষাতে বনি-ইসরাইলদের মধ্যে এক জন পুরুষ তার জ্ঞাতিদের কাছে এক মাদিয়ানীয়া স্ত্রীকে আনলো, সেই সময় লোকেরা জমায়েত-তাঁবুর দ্বারে কান্নাকাটি করছিল।
7 তা দেখে ইমাম হারুনের পৌত্র ইলিয়াসরের পুত্র পীনহস মণ্ডলীর মধ্য থেকে উঠে হাতে বর্শা নিলেন;
8 আর সেই ইসরাইলীয় পুরুষের পিছনে পিছনে কুঠরীতে প্রবেশ করে ঐ দু’জনকে, অর্থাৎ সেই পুরুষ এবং সেই স্ত্রীলোকের পেটে তা বিদ্ধ করলেন। তাতে বনি-ইসরাইল থেকে মহামারী নিবৃত্ত হল।
9 যারা ঐ মহামারীতে মারা গিয়েছিল, তারা সংখ্যায় চব্বিশ হাজার।
10 পরে মাবুদ মূসাকে বললেন,
11 লোকদের মধ্যে আমার পক্ষে গভীর আগ্রহ প্রকাশ করাতে ইমাম হারুনের পৌত্র ইলিয়াসরের পুত্র পীনহস বনি-ইসরাইলদের মধ্য থেকে আমার ক্রোধ নিবৃত্ত করলো; এজন্য আমি অন্তর্জ্বালায় বনি-ইসরাইলকে সংহার করলাম না।
12 অতএব তুমি এই কথা বল, দেখ, আমি তাকে আমার শান্তির নিয়ম দিয়েছি;
13 তা তার ও তার ভাবী বংশের পক্ষে চিরস্থায়ী ইমামতির নিয়ম হবে; কেননা সে তার আল্লাহ্র পক্ষে ভীষণ আগ্রহ প্রকাশ করেছে এবং বনি-ইসরাইলদের জন্য কাফ্ফারা করেছে।
14 ইসরাইলীয় যে পুরুষ ঐ মাদিয়ানীয়া স্ত্রীর সঙ্গে নিহত হয়েছিল, তার নাম সিম্রি, সে সালূর পুত্র; সে শিমিয়োন গোষ্ঠীর এক জন কুলপতি ছিল।
15 আর ঐ নিহত মাদিয়ানীয়া স্ত্রীর নাম কস্বী, সে সূরের কন্যা; ঐ সূর ছিল মাদিয়ানীয়দের এক জন গোষ্ঠী প্রধান।
16 পরে মাবুদ মূসাকে বললেন,
17 তুমি মাদিয়ানীয়দেরকে কষ্ট দাও ও আঘাত কর।
18 কেননা পিয়োর বিষয়ক ছলনায় এবং সেই পিয়োরের জন্য মহামারীর দিনে তাদের জ্ঞাতি মাদিয়ানীয় গোষ্ঠী প্রধানের কন্যা কস্বী বিষয়ক ছলনায়, তারা তোমাদেরকে প্রবঞ্চনা করে কষ্ট দিয়েছে।