1 মূসা যে কূশীয়া স্ত্রীকে বিয়ে করেছিলেন, তার দরুন মরিয়ম ও হারুন মূসার বিরুদ্ধে কথা বলতে লাগলেন, কেননা তিনি এক জন কূশীয়া স্ত্রীকে বিয়ে করেছিলেন।
2 তাঁরা বললেন, মাবুদ কি কেবল মূসার সঙ্গে কথা বলেছেন? আমাদের সঙ্গে কি বলেন নি? আর এই কথা মাবুদ শুনলেন।
3 দুনিয়ার লোকদের মধ্যে মূসা সকলের চেয়ে অতিশয় মৃদু স্বভাবের ছিলেন।
4 পরে মাবুদ হঠাৎ মূসা, হারুন ও মরিয়মকে বললেন, তোমরা তিন জন বের হয়ে জমায়েত-তাঁবুর কাছে এসো; তাঁরা তিন জন বের হয়ে আসলেন।
5 তখন মাবুদ মেঘস্তম্ভে নেমে তাঁবুর দ্বারে দাঁড়ালেন এবং হারুন ও মরিয়মকে ডাকলেন; তাতে তাঁরা উভয়ে বের হয়ে আসলেন।
6 তিনি বললেন, তোমরা আমার কথা শোন; তোমাদের মধ্যে যদি কেউ নবী হয়, তবে আমি মাবুদ তার কাছে কোন দর্শন দ্বারা আমার পরিচয় দেব, স্বপ্নে তার সঙ্গে কথা বলবো।
7 আমার গোলাম মূসা সেরকম নয়, সে আমার সমস্ত বাড়ির মধ্যে বিশ্বাসের পাত্র।
8 তার সঙ্গে আমি সম্মুখাসম্মুখি হয়ে কথা বলি, গূঢ় কালাম দ্বারা নয়, বরং প্রকাশ্যরূপে কথা বলি এবং সে মাবুদের রূপ দর্শন করে। অতএব আমার গোলাম মূসার বিরুদ্ধে কথা বলতে তোমরা কেন ভয় পেলে না?
9 ফলে তাঁদের প্রতি মাবুদের ক্রোধ প্রজ্বলিত হল ও তিনি প্রস্থান করলেন।
10 আর তাঁবুর উপর থেকে মেঘ প্রস্থান করলো; আর দেখ, মরিয়মের হিমের মত কুষ্ঠ হয়েছে এবং হারুন মরিয়মের দিকে মুখ ফিরিয়ে দেখলেন, তিনি কুষ্ঠরোগগ্রস্তা।
11 তখন হারুন মূসাকে বললেন, হায়, আমার মালিক, আরজ করি, গুনাহ্র ফল আমাদেরকে দেবেন না, এই বিষয়ে আমরা নির্বোধের কাজ করেছি, এই বিষয়ে গুনাহ্ করেছি।
12 মাতৃগর্ভ থেকে ভূমিষ্ঠ হবার কালে যার শরীর অর্ধেকটা নষ্ট হয়ে যাওয়ার মত হয়, সেই রকম মৃতের মত এ যেন না হয়।
13 পরে মূসা মাবুদের কাছে ক্রন্দন করে বললেন, হে আল্লাহ্, আরজ করি, একে সুস্থ কর।
14 মাবুদ মূসাকে বললেন, যদি তার পিতা তার মুখে থুথু দিত, তা হলে সে কি সাতদিন লজ্জিত থাকতো না? এই সাতদিন পর্যন্ত শিবিরের বাইরে রুদ্ধ থাকুক; তারপর পুনর্বার ভিতরে আনা হবে।
15 তাতে মরিয়ম সাতদিন শিবিরের বাইরে রুদ্ধ থাকলেন এবং যতদিন মরিয়মকে ভিতরে আনা না হল, ততদিন লোকেরা যাত্রা করলো না।
16 পরে লোকেরা হৎসেরোৎ থেকে যাত্রা করে পারণ মরুভূমিতে শিবির স্থাপন করলো।