11 আমি ফিরলাম ও সূর্যের নিচে দেখলাম যে, দ্রুতগামীদের দ্রুতগমন, বা বীরদের যুদ্ধ, বা জ্ঞানবানদের অন্ন, বা বুদ্ধিমানদের ধন, বা বিজ্ঞদেরই দয়া লাভ হয়, এমন নয়, কিন্তু সকলের কাছে সময় ও সুযোগ আসে।
12 বাস্তবিক মানুষও নিজের কাল জানে না; যেমন মাছ অশুভ জালে ধৃত হয়, কিংবা যেমন পাখিগুলো ফাঁদে ধৃত হয়, তেমনি বনি-আদমেরা অশুভকালে ধরা পড়ে, তা হঠাৎ তাদের উপরে এসে পড়ে।
13 আবার আমি প্রজ্ঞাকে সূর্যের নিচে এভাবে দেখেছি, আর তা আমার দৃষ্টিতে মহৎ বোধ হল।
14 একটি ক্ষুদ্র নগর ছিল, তাতে লোক অল্প ছিল; পরে মহান কোন বাদশাহ্ এসে তা বেষ্টন করে তার বিরুদ্ধে বড় বড় দুর্গ নির্মাণ করলেন।
15 আর ঐ নগরের মধ্যে এক জন জ্ঞানবান দরিদ্র লোককে পাওয়া গেল; সে তার প্রজ্ঞা দ্বারা নগরটি রক্ষা করলো, কিন্তু সেই দরিদ্র লোকটিকে কেউই স্মরণ করলো না।
16 তখন আমি বললাম, পরাক্রম থেকে প্রজ্ঞা উত্তম, তবুও দরিদ্রের প্রজ্ঞাকে তুচ্ছ করা হয় ও তার কথা কেউ শোনে না।
17 হীনবুদ্ধিদের মধ্যে কর্তৃত্বকারীর চিৎকারের চেয়ে জ্ঞানবানদের কথা শান্তি-স্থানে বেশি শোনা হয়।