1 পরে আমি ফিরে, সূর্যের নিচে যেসব জুলুম হয়, তা নিরীক্ষণ করতে লাগলাম। আর দেখ, নির্যাতিত লোকদের অশ্রুপাত হচ্ছে, কিন্তু তাদের সান্ত্বনাকারী কেউ নেই; জুলুমবাজ লোকদের হাতে বল আছে, কিন্তু নির্যাতিত লোকদের সান্ত্বনা দেবার মত কেউ নেই।
2 অতএব যারা এখনও জীবিত আছে, তাদের চেয়ে, যারা ইতোপূর্বে মারা গেছে, আমি তাদের প্রশংসা করলাম।
3 কিন্তু যে আজ পর্যন্ত হয় নি এবং সূর্যের নিচে কৃত মন্দ কাজ দেখে নি, তার অবস্থা দু’টি বিষয় থেকেও ভাল।
4 পরে আমি সমস্ত পরিশ্রম ও কর্ম-কৌশল দেখে বুঝলাম, এতে মানুষ প্রতিবেশীর ঈর্ষাভাজন হয়; এও অসার ও বায়ুর পিছনে দৌড়ানো ছাড়া আর কিছু নয়।
5 হীনবুদ্ধি হাত জড়সড় করে নিজের মাংস ভোজন করে।
6 পরিশ্রম ও বায়ুভক্ষণসহ পূর্ণ দুই মুষ্টির চেয়ে শান্তিসহ পূর্ণ এক মুষ্টি ভাল।
7 তখন আমি ফিরে সূর্যের নিচে অসারতা নিরীক্ষণ করলাম।
8 কোন ব্যক্তি একা থাকে, তার দ্বিতীয় কেউ নেই, পুত্র নেই, ভাইও নেই, তবুও তার পরিশ্রমের সীমা নেই, তার চোখের ধনে তৃপ্ত হয় না। সে বলে, তবে আমি কার জন্য পরিশ্রম করছি ও নিজের প্রাণকে সুখভোগ থেকে বঞ্চিত করছি? এও অসার ও ভারী কষ্টজনক।
9 এক জনের চেয়ে দু’জন ভাল, কেননা তাদের পরিশ্রমে সুফল হয়।
10 কারণ তারা পড়ে গেলে এক জন নিজের সঙ্গীকে উঠাতে পারে; কিন্তু ধিক্ তাকে, যে একাকী, কেননা সে পড়ে গেলে তাকে তুলতে পারে, এমন দোসর কেউই নেই।
11 আবার দু’জন একত্র শয়ন করলে উষ্ণ হয়, কিন্তু এক জন কেমন করে উষ্ণ হবে?
12 আর যে একাকী, তাকে যদিও কেউ পরাস্ত করে, তবুও দু’জন তার প্রতিরোধ করবে এবং ত্রিগুণ সুতা শীঘ্র ছেঁড়ে না।
13 যে হীনবুদ্ধি বৃদ্ধ বাদশাহ্ আর কোন পরামর্শ গ্রহণ করতে পারে না, তার চেয়ে বরং দরিদ্র জ্ঞানবান যুবক ভাল।
14 কেননা হয়তো সে বাদশাহ্ হবার জন্য কারাগার থেকে বের হয়েছিল; এমন কি, তার রাজ্যেও হয়তো সে গরীব অস্থায় জন্মেছিল।
15 আমি সূর্যের নিচে ভ্রমণকারী সমস্ত প্রাণীকে দেখলাম, তারা সেই যুবকের পিছনে গেল যে ব্যক্তি বাদশাহ্র পরে তার পদ লাভ করলো।
16 সেসব মানুষের, যাদের উপরে সে শাসনকর্তা হয়েছিল, তারা অসংখ্য; তবুও পরবর্তী মানুষেরা সেই ব্যক্তিতে আনন্দ করবে না। বস্তুত এও অসার ও বায়ুর পিছনে দৌড়ানো ছাড়া আর কিছু নয়।