1 হেদায়েতকারীর কথা; তিনি দাউদের পুত্র, জেরুশালেমের বাদশাহ্।
2 হেদায়েতকারী বলছেন, অসারের অসার, সকলই অসার।
3 মানুষ সূর্যের নিচে যে পরিশ্রমে পরিশ্রান্ত হয়, তার সেসব পরিশ্রমে কি ফল দেখতে পায়?
4 এক পুরুষ চলে যায়, আর এক পুরুষ আসে; কিন্তু দুনিয়া নিত্যস্থায়ী।
5 সূর্যও ওঠে, আবার সূর্য অস্ত যায় এবং দ্রুত স্বস্থানে যায়, সেখানে গিয়ে আবার উঠে।
6 বায়ু দক্ষিণ দিকে যায় ও ঘুরে ঘুরে উত্তর দিকে যায়; নিরন্তর ঘুরে ঘুরে নিজের পথে যায় এবং বায়ু নিজের চক্রপথে ফিরে আসে।
7 পানির স্রোতগুলো সমুদ্রে প্রবেশ করে, তবুও সমুদ্র পূর্ণ হয় না; পানির স্রোতগুলো যে স্থানে যায়, সেই স্থানে পুনরায় চলে যায়।
8 সমস্ত বিষয় ক্লান্তিজনক; তার বর্ণনা করা মানুষের অসাধ্য; দর্শনে চোখ তৃপ্ত হয় না এবং শ্রবণে কান তৃপ্ত হয় না।
9 যা হয়েছে, তা-ই হবে; যা করা গেছে, তা-ই করা যাবে; সূর্যের নিচে নতুন কিছুই নেই।
10 এমন কি কিছু আছে, যার সম্বন্ধে মানুষ বলে, দেখ, এটা নতুন? তা আগে আমাদের পূর্ববর্তী যুগপর্যায়ে ছিল;
11 আগেকার দিনের লোকদের বিষয় কারো স্মরণে নেই এবং ভবিষ্যতে যারা জন্মাবে, তাদের বিষয়ও পরবর্তী বংশধরদের স্মরণে থাকবে না।
12 আমি হেদায়েতকারী, জেরুশালেমে ইসরাইলের বাদশাহ্ ছিলাম।
13 আর আমি প্রজ্ঞা দ্বারা আসমানের নিচে কৃত সমস্ত বিষয়ের অনুশীলন ও অনুসন্ধান করতাম; আল্লাহ্ বনি-আদমদেরকে কষ্টযুক্ত করার জন্য এই ভীষণ কষ্ট দিয়েছেন।
14 সূর্যের নিচে কৃত সমস্ত কাজ আমি দেখেছি; দেখ, সে সবই অসার ও বায়ুর পিছনে দৌড়ানো ছাড়া আর কিছু নয়।
15 যা বাঁকা, তা সোজা করা যায় না; এবং যা নেই, তা গণনা করা যায় না।
16 আমি আমার হৃদয়ের সঙ্গে কথাবার্তা বললাম, বললাম, দেখ, আমার আগে জেরুশালেমে যেসব শাসনকর্তা ছিলেন, সেই সকলের চেয়ে আমি বেশি জ্ঞানবিশিষ্ট হয়েছি এবং আমার হৃদয় নানা রকম জ্ঞানে ও বিদ্যায় পারদর্শী হয়েছে।
17 আমি প্রজ্ঞা জানতে এবং পাগলামী ও অজ্ঞানতা জানতে মনোযোগ করলাম, আমি জানলাম যে, তাও বায়ুর পিছনে দৌড়ানো ছাড়া আর কিছু নয়।
18 কেননা প্রজ্ঞা বাড়লে মনস্তাপ বাড়ে এবং যে বিদ্যা বৃদ্ধি করে, সে ব্যথারও বৃদ্ধি করে।