1 লমূয়েল বাদশাহ্র কথা। তাঁর মা তাঁকে এই দৈববাণী শিক্ষা দিয়েছিলেন।
2 হে বৎস, কি বলবো?হে আমার গর্ভের সন্তান, কি বলবো।হে আমার মানতের পুত্র, তোমাকে আমি কি বলবো?
3 তুমি নারীদেরকে নিজের শক্তি দিও না,যা বাদশাহ্দের বিনাশক, তাতে লিপ্ত হয়ো না।
4 বাদশাহ্দের জন্য, হে লমূয়েল,বাদশাহ্দের জন্য মদ্যপান উপযুক্ত নয়,‘সুরা কোথায়? এই কথা বলা শাসনকর্তাদের অনুচিত।
5 পাছে পান করে তাঁরা আইন-কানুন বিস্মৃত হন,এবং কোন দুঃখীর বিচার বিপরীত করেন।
6 মৃতকল্প ব্যক্তিকে সুরা দাও,তিক্তপ্রাণ লোককে আঙ্গুর-রস দাও;
7 সে পান করে দৈন্যদশা ভুলে যাক,নিজের দুর্দশা আর মনে না করুক।
8 যারা নিজেদের পক্ষে কথা বলতে পারে না তাদের জন্য তুমি মুখ খোল,এতিমদের পক্ষে তুমি কথা বল।
9 তোমার মুখ খোল, ন্যায়বিচার কর,দুঃখী ও দরিদ্রের বিচার কর।
10 গুণবতী স্ত্রী কে পেতে পারে?মুক্তা হতেও তাঁর মূল্য অনেক বেশি।
11 তাঁর স্বামীর হৃদয় তাঁতে নির্ভর করে,স্বামীর লাভের অভাব হয় না।
12 তিনি সারা জীবন তাঁর উপকার করেন,অপকার করেন না।
13 তিনি ভেড়ার লোম ও মসীনা খোঁজ করেন,প্রফুল্লভাবে নিজের হাতে কাজ সম্পাদন করেন।
14 তিনি বাণিজ্য-জাহাজগুলোর মত,দূর থেকে নিজের খাদ্যসামগ্রী আনয়ন করেন।
15 তিনি রাত থাকতে উঠেন,আর নিজের পরিজনদের খাদ্য দেন,নিজের বাঁদীদেরকে নির্ধারিত কাজ দেন।
16 তিনি ভূমির বিষয়ে সঙ্কল্প করে তা ক্রয় করেন,নিজের হাতের ফল দিয়ে আঙ্গুরের বাগান প্রস্তুত করেন।
17 তিনি বলযুক্ত হয়ে কোমরবন্ধনী পরেন,আপন বাহুযুগল বলশালী করেন।
18 তিনি দেখতে পান, তাঁর ব্যবসায় উত্তম,রাতে তাঁর দীপ নির্বাপিত হয় না।
19 তিনি টেকুয়া নিতে নিজের হাত বাড়িয়ে দেন,তাঁর দু’হাত তাঁতের টাকু ধরে।
20 তিনি দরিদ্রের প্রতি মুক্তহস্ত হন,দীনহীনের প্রতি হাত বাড়িয়ে দেন।
21 তিনি নিজের পরিবারের বিষয়ে তুষারপাত থেকে ভয় পান না;কারণ তাঁর সমস্ত পরিজন লাল কাপড় পরে।
22 তিনি নিজের জন্য বুটিদার চাদর নির্মাণ করেন।তাঁর পরিচ্ছদ শুভ্র মসীনার কাপড় ও বেগুনে কাপড়।
23 তাঁর স্বামী নগর-দ্বারে সমাদৃত হন,যখন দেশের প্রাচীনদের সঙ্গে বসেন।
24 তিনি সূক্ষ্ম কাপড় প্রস্তুত করে বিক্রি করেন,বণিকের হাতে কটিবস্ত্র তুলে দেন।
25 শক্তি ও সমাদর তাঁর পরিচ্ছদ;তিনি ভবিষ্যৎকালের বিষয়ে হাসবেন।
26 তিনি প্রজ্ঞার সঙ্গে মুখ খোলেন,তাঁর কথায় দয়ার ব্যবস্থা থাকে।
27 তিনি নিজের পরিবারের আচরণের প্রতি লক্ষ্য রাখেন,তিনি আলস্যের খাদ্য খান না।
28 তাঁর সন্তানেরা উঠে তাঁকে সুখী বলে;তাঁর স্বামীও বলেন, আর তাঁর এরকম প্রশংসা করেন,
29 “অনেক মেয়ে অনেক গুণ প্রদর্শন করেছে,কিন্তু তাদের মধ্যে সবচেয়ে তুমি শ্রেষ্ঠা।”
30 লাবণ্য মিথ্যা, সৌন্দর্য অসার,কিন্তু যে স্ত্রী মাবুদকে ভয় করেন,তিনিই প্রশংসনীয়া।
31 তোমরা তাঁর অর্জিত পুরস্কার তাঁকে দাও,নগর-দ্বারগুলোতে তাঁর কাজ তাঁর প্রশংসা করুক।