1 বৎস আমার সমস্ত কথা পালন কর,আমার সমস্ত হুকুম তোমার কাছে সঞ্চয় কর।
2 আমার সমস্ত হুকুম পালন কর, জীবন পাবে,নয়ন-তারার মত আমার শিক্ষা রক্ষা কর;
3 তোমার আঙ্গুলগুলোতে সেগুলো বেঁধে রাখ,তোমার হৃদয়-ফলকে তা লিখে রাখ।
4 প্রজ্ঞাকে বল, তুমি আমার বোন,সুবিবেচনাকে বল তুমি আমার সখী;
5 তাতে তুমি পরকীয়া স্ত্রী থেকে রক্ষা পাবে,চাটুভাষিণী বিজাতীয়া থেকে রক্ষা পাবে।
6 আমি তোমার বাড়ির জানালা থেকেজালির মধ্য দিয়ে নিরীক্ষণ করছিলাম;
7 অবোধদের মধ্যে আমার দৃষ্টি পড়লো,আমি যুবকদের মধ্যে এক জনকে দেখলাম,সে বুদ্ধিবিহীন যুবক।
8 সে গলিতে গেল, ঐ স্ত্রীর কোণের কাছে এল,তার বাড়ির পথে চললো।
9 তখন সন্ধ্যাকাল, দিবাবসান হয়েছিল,রাতের অন্ধকার হয়েছিল।
10 তখন দেখ, এক জন স্ত্রীলোক তার সম্মুখে এল,সে পতিতা-বেশধারিণী ও চতুর-চিত্তা;
11 সে কলহকারিণী ও অবাধ্য,তার চরণ ঘরে থাকে না;
12 সে কখনও রাস্তায়, কখনও হাটে-বাজারে,কোণে কোণে অপেক্ষাতে থাকে।
13 সে তাকে ধরে চুম্বন করলো,নির্লজ্জ মুখে তাকে বললো,
14 ‘আমাকে মঙ্গল-কোরবানীদান করতে হয়েছে,আজ আমি আমার মানত পূর্ণ করেছি;
15 তাই তোমার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে বাইরে এসেছি,সযত্নে তোমার মুখ দেখতে এসেছি,তোমাকে পেয়েছি।
16 আমি পালঙ্কে বুটিদার চাদর পেতেছি,মিসরীয় সুতার চিত্রবিচিত্র চাদর পেতেছি।
17 আমি গন্ধরস, অগুরু ও দারুচিনি দিয়েআমার বিছানা আমোদিত করেছি।
18 চল, আমরা প্রভাত পর্যন্ত কামরসে মত্ত হই,আমরা গভীর প্রেমের মধ্যে আনন্দ ভোগ করি।
19 কেননা আমার স্বামী ঘরে নেই,তিনি দূরে যাত্রা করেছেন;
20 টাকার থলি সঙ্গে নিয়ে গেছেন,পূর্ণিমার দিন ঘরে আসবেন।’
21 অনেক মন ভুলানো কথায় সে তার অন্তর হরণ করলো,ওষ্ঠাধরের চাটুবাদে তাকে আকর্ষণ করলো।
22 অমনি সে তার পিছনে গেল,যেমন গবাদি পশু হত হতে যায়,যেমন শিকলে বাঁধা ব্যক্তি নির্বোধের শাস্তি পেতে যায়;
23 শেষে তার যকৃৎ বাণে বিদ্ধ হল;যেমন পাখি ফাঁদে পড়তে বেগে ধাবিত হয়,আর জানে না যে, তা প্রাণনাশক।
24 এখন বৎসরা, আমার কথা শোন,আমার মুখের কথায় মনযোগ দাও।
25 তোমার অন্তর ওর পথে না যাক,তুমি ওর পথে ভ্রমণ করো না।
26 কেননা সে অনেককে আঘাত করে নিপাত করেছে,তার নিহত লোকেরা একটি বড় দল।
27 তার বাড়ি পাতালের পথ,যে পথ মৃত্যুর অতল গহ্বরে নেমে যায়।