1 বৎসরা, পিতার উপদেশ শোন,সুবিবেচনা বুঝবার জন্য মনোযোগ দাও।
2 কেননা আমি তোমাদেরকে আদেশমালা দেব;তোমরা আমার ব্যবস্থা ত্যাগ করো না।
3 কারণ আমিও নিজের পিতার সন্তান ছিলাম,মাতার দৃষ্টিতে কোমল ও অদ্বিতীয় ছিলাম।
4 পিতা আমাকে শিক্ষা দিতেন, বলতেন,তোমার অন্তর আমার কথা ধরে রাখুক;আমার সমস্ত হুকুম পালন কর, জীবন পাবে;
5 প্রজ্ঞা অর্জন কর, সুবিবেচনা আয়ত্ব কর, ভুলে যেও না;আমার মুখের কথা থেকে বিমুখ হয়ো না।
6 প্রজ্ঞাকে ছেড়ো না, সে তোমাকে রক্ষা করবে;তাকে মহব্বত কর, সে তোমাকে সংরক্ষণ করবে।
7 প্রজ্ঞাই প্রধান বিষয়, তুমি প্রজ্ঞা অর্জন কর;সমস্ত অর্জন দিয়ে সুবিবেচনা আয়ত্ব কর।
8 তাকে শিরোধার্য কর, সে তোমাকে উন্নত করবে,যখন তাকে আলিঙ্গন কর, সে তোমাকে মান্য করবে।
9 সে তোমার মাথায় লাবণ্যভূষণ দেবে,সে তোমাকে শোভার মুকুট প্রদান করবে।
10 বৎস, শোন, আমার কথা গ্রহণ কর,তাতে তোমার জীবনের আয়ু দীর্ঘ হবে।
11 আমি তোমাকে প্রজ্ঞার পথ দেখিয়েছি,তোমাকে সরলতার পথে চালিয়েছি।
12 তোমার গমনকালে পাদসঞ্চার বাধাগ্রস্ত হবে না,ধাবনকালে তোমার হোঁচট লাগবে না।
13 উপদেশ ধরে রেখো, ছেড়ে দিও না,তা রক্ষা কর, কেননা তা তোমার জীবন।
14 দুর্জনদের পথে প্রবেশ করো না,দুর্বৃত্তদের পথে চলো না,
15 তা পরিত্যাগ কর, তার কাছ দিয়ে যেও না;তা থেকে বিমুখ হয়ে অগ্রসর হও।
16 কেননা দুষ্কর্ম না করলে তাদের নিদ্রা হয় না,কারো হোঁচট না লাগালে তাদের নিদ্রা দূরে যায়।
17 কারণ তারা নাফরমানীর অন্ন ভোজন করে,তারা উপদ্রবের আঙ্গুর-রস পান করে।
18 কিন্তু ধার্মিকদের পথ প্রভাতীয় আলোর মত,যা মধ্যাহ্ন পর্যন্ত উত্তরোত্তর দেদীপ্যমান হয়।
19 দুষ্টদের পথ অন্ধকারের মত;তারা কিসে হোঁচট খাবে, জানে না।
20 বৎস, আমার কথায় মনযোগ দাও,আমার কথায় কান দাও।
21 তা তোমার দৃষ্টির বহির্ভূত না হোক,তোমার হৃদয়মধ্যে তা রাখ।
22 কেননা যারা তা পায়, তাদের পক্ষে তা জীবন,তা তাদের সর্বাঙ্গের স্বাস্থ্যস্বরূপ।
23 সমস্ত রক্ষণীয়ের চেয়ে তোমার অন্তর রক্ষা কর,কেননা তা থেকে জীবন প্রবাহিত হয়।
24 মুখের কুটিলতা নিজের কাছ থেকে দূর কর,ওষ্ঠাধরের বক্রতা নিজের কাছ থেকে সরিয়ে দাও।
25 তোমার চোখ সরল দৃষ্টি করুক,তোমার চোখের পাতা সোজাভাবে সম্মুখে দেখুক।
26 তোমার চলার পথ সমান কর,তোমার সমস্ত পথ সুদৃঢ় হোক।
27 ডানে বা বামে ফিরবে না,মন্দ থেকে চরণ নিবৃত্ত কর।