1 যাকির পুত্র আগূরের কথা;দৈববাণী।ঈথীয়েলের প্রতি, ঈথীয়েল ও উকলের প্রতি সেই ব্যক্তির উক্তি।
2 সত্যি, আমি মানুষের মধ্যে সবচেয়ে মূর্খ,মানুষের বিবেচনা আমার নেই।
3 আমি প্রজ্ঞা শিক্ষা করি নি,পবিত্রতমের জ্ঞান আমার নেই।
4 কে বেহেশতে গিয়ে নেমে এসেছেন?কে তার মুষ্টিদ্বয়ে বায়ু গ্রহণ করেছেন?কে তার কাপড়ের মধ্যে জলরাশি বেঁধেছেন?কে দুনিয়ার সমস্ত প্রান্ত স্থাপন করেছেন?তাঁর নাম কি? তাঁর পুত্রের নাম কি? যদি জান, বল।
5 আল্লাহ্র প্রত্যেক কালাম পরীক্ষাসিদ্ধ;তিনি নিজের শরণাপন্ন লোকদের ঢালস্বরূপ।
6 তাঁর কালামের সঙ্গে কিছু যোগ করো না;পাছে তিনি তোমার দোষ ব্যক্ত করেন,আর তুমি মিথ্যাবাদী প্রতিপন্ন হও।
7 আমি তোমার কাছে দুই বর ভিক্ষা করেছি,আমার জীবন থাকতে তা অস্বীকার করো না;
8 প্রবঞ্চনা ও মিথ্যা কথা আমার কাছ থেকে দূর কর;দরিদ্রতা বা ঐশ্বর্য আমাকে দিও না,আমার নিরূপিত খাদ্যই আমাকে আহার করাও;
9 পাছে অতি তৃপ্ত হলে আমি তোমাকে অস্বীকার করে বলি, মাবুদ কে?কিংবা পাছে দরিদ্র হলে চুরি করে বসি,ও আমার আল্লাহ্র নাম অপব্যবহার করি।
10 মালিকের কাছে গোলামের দুর্নাম করো না,পাছে সে তোমাকে বদদোয়া দেয় ও তুমি অপরাধী হও।
11 একটি বংশ আছে, তারা পিতাকে বদদোয়া দেয়,আর মাতাকে মঙ্গলবাদ করে না।
12 একটি বংশ আছে, তারা নিজেদের দৃষ্টিতে পাক-পবিত্র,তবু নিজেদের মলিনতা থেকে পাক-সাফ হয় নি।
13 একটি বংশ আছে, তাদের দৃষ্টি কেমন উঁচু!তাদের চোখের পাতা উন্নত।
14 একটি বংশ আছে, তাদের দাঁত তলোয়ার ও চোয়ালের দন্তে ছুরি বসানো,যেন দেশ থেকে দুঃখীদের, মানুষের মধ্য থেকে দরিদ্রদেরকে গ্রাস করে।
15 জোঁকের দু’টা কন্যা আছে, ‘দেহি, দেহি’।তিনটা জিনিস কখনও তৃপ্ত হয় না।চারটা জিনিস কখনও বলে না, যথেষ্ট হল;
16 পাতাল,বন্ধ্যা স্ত্রীলোকের জঠর,ভূমি, যা পানিতে তৃপ্ত হয় না,আগুন, যা বলে না, যথেষ্ট হল।
17 যে চোখ তার পিতাকে পরিহাস করে,নিজের মাতার হুকুম মানতে অবহেলা করে,উপত্যকার কাকেরা তা তুলে নবে,ঈগল পাখির বাচ্চাগুলো তা খেয়ে ফেলবে।
18 তিনটা জিনিস আমার জ্ঞানের অগম্য,চারটা জিনিস আমি বুঝতে পারি না;
19 ঈগল পাখির পথ আসমানে,সাপের পথ শৈলের উপরে,জাহাজের পথ সমুদ্রের মধ্যস্থলে,পুরুষের পথ যুবতীতে।
20 জেনাকারীণীর পথও তদ্রূপ;সে খেয়ে মুখ মোছে,আর বলে, আমি অধর্ম করি নি।
21 তিনটার ভারে ভূতল কাঁপে,চারটার ভারে কাঁপে, সইতে পারে না;
22 গোলামের ভার, যখন সে রাজত্ব লাভ করে,মূর্খের ভার, যখন সে ভক্ষ্যে পরিতৃপ্ত হয়,
23 ঘৃণিতা স্ত্রীর ভার, যখন সে পত্নীর পদ পায়,আর বাঁদীর ভার, যখন সে নিজের কর্ত্রীর স্থান লাভ করে।
24 দুনিয়াতে এই চারটি অতি ক্ষুদ্র,তবুও তারা বড় বুদ্ধি ধরে;
25 পিপীলিকা শক্তিমান জাতি নয়,তবু গ্রীষ্মকালে স্ব স্ব খাদ্যের আয়োজন করে;
26 শাফন জন্তু বলবান জাতি নয়,তবুও শৈলে ঘর বাঁধে;
27 পঙ্গপালগুলোর বাদশাহ্ নেই,তবুও তারা দল বেঁধে যাত্রা করে;
28 টিক্টিকি হাত দিয়ে চলে,তবুও বাদশাহ্র অট্টালিকায় থাকে।
29 তিনটা জিনিস সুন্দরভাবে গমন করে,চারটা জিনিস সুন্দরভাবে চলে;
30 সিংহ, যে পশুদের মধ্যে বিক্রমী,যে কাউকেও দেখে ফিরে যায় না;
31 যুদ্ধের ঘোড়া, আর ছাগল এবং বাদশাহ্,যখন তাঁর সৈন্যদল তাঁর সঙ্গে থাকে।
32 তুমি যদি নিজের বড়াই করে মূর্খের কাজ করে থাক,কিংবা যদি কুসঙ্কল্প করে থাক, তবে তোমার মুখে হাত দাও।
33 কেননা দুধ মন্থনে মাখন বের হয়,নাসিকা মন্থনে রক্ত বের হয় ও ক্রোধ মন্থনে বিরোধ হয়।