1 বৎস, তুমি যদি বন্ধুর জামিন হয়েথাক,যদি অপরের সঙ্গে হাতে তালি দিয়ে থাক,
2 তবে নিজের মুখের কথায় ফাঁদে পড়েছ,নিজের মুখের কথায় ধরা পড়েছ।
3 এখন, বৎস, তুমি এই কাজ কর;নিজেকে উদ্ধার কর;যখন তুমি তোমার বন্ধুর হস্তগত হয়েছ,তখন যাও, বিনত হও,বন্ধুর সাধ্যসাধনা কর;
4 তোমার চোখকে নিদ্রা যেতে দিও না,চোখের পাতাকে বন্ধ হতে দিও না;
5 নিজেকে শিকারীর হাত থেকে হরিণের মত,পাখির মত শিকারীর হাত থেকে উদ্ধার কর।
6 হে অলস, তুমি পিপীলিকার কাছে যাও,তার সমস্ত কাজ দেখে জ্ঞানবান হও।
7 তার বিচারকর্তা কেউ নেই,শাসনকর্তা কি নেতা কেউ নেই,
8 তবু সে গ্রীষ্মকালে তার খাদ্য জমা করে,শস্য কাটার সময়ে খাবার সঞ্চয় করে।
9 হে অলস, তুমি কত কাল শুয়ে থাকবে?কখন নিদ্রা থেকে উঠবে?
10 ‘আর একটু নিদ্রা, আর একটু তন্দ্রা,আর একটু শুয়ে হাত জড়সড় করবো’;
11 তাই তোমার দরিদ্রতা দস্যুর মত আসবে,তোমার দৈন্যদশা সশস্ত্র ব্যক্তির মত আসবে।
12 যে ব্যক্তি পাষণ্ড, যে লোক অপরাধী,সে মুখের কুটিলতায় চলে,
13 সে চোখ দিয়ে ইঙ্গিত করে, পা দিয়ে কথা বলে,সে আঙ্গুল দ্বারা সঙ্কেত করে,
14 তার অন্তরে কুটিলতা থাকে,সে সতত কুকল্পনা করে,সে ঝগড়া ছড়িয়ে দেয়।
15 সেজন্য অকস্মাৎ তার বিপদ আসবে,হঠাৎ সে ভগ্ন হবে; আর প্রতিকার হবে না।
16 এই ছয়টি বস্তু মাবুদের ঘৃণিত,এমন কি, সাতটি বস্তু তাঁর প্রাণের ঘৃণাস্পদ;
17 উদ্ধত দৃষ্টি,মিথ্যাবাদী জিহ্বা,নির্দোষের রক্তপাতকারী হাত,
18 দুষ্ট সঙ্কল্পকারী অন্তর,দুষ্কর্ম করতে দ্রুতগামী চরণ,
19 যে মিথ্যাসাক্ষী অসত্য কথা বলে,ও যে ভাইদের মধ্যে বিবাদের সূত্রপাত করে।
20 বৎস, তুমি তোমার পিতার হুকুম পালন কর,তোমার মাতার শিক্ষা ত্যাগ করো না।
21 তা সর্বদা তোমার অন্তরে গেঁথে রাখ,তোমার গলায় বেঁধে রাখ।
22 গমনকালে সে তোমাকে পথ দেখাবে,শয়নকালে তোমার প্রহরী হবে,জাগরণকালে তোমার সঙ্গে আলাপ করবে।
23 কেননা হুকুম প্রদীপের মত ও শিক্ষা আলোর মত,এবং শিক্ষাজনক তিরস্কার জীবনের পথ;
24 সে তোমাকে রক্ষা করবে,দুষ্টা স্ত্রী থেকে, বিজাতীয়ার জিহ্বার চাটুবাদ হতে।
25 তুমি অন্তরে ওর সৌন্দর্যে লুব্ধ হয়ো না,ওর চক্ষুর ভঙ্গিতে ধৃত হয়ো না।
26 কেননা পতিতাগমন দ্বারা অন্নাভাব ঘটে,পরস্ত্রী মানুষের মহামূল্য প্রাণ শিকার করে।
27 কেউ যদি বক্ষঃস্থলে আগুন রাখে,তবে তার কাপড় কি পুড়ে যাবে না?
28 কেউ যদি জ্বলন্ত অঙ্গারের উপর দিয়ে চলে,তবে তার পা কি পুড়ে যাবে না?
29 তদ্রূপ যে প্রতিবেশীর স্ত্রীর কাছে গমন করে;যে তাকে স্পর্শ করে, সে অদণ্ডিত থাকবে না।
30 যে ক্ষুধিত হয়ে প্রাণের তৃপ্তির জন্য চুরি করে,লোকে সেই চোরকে উপেক্ষা করে না;
31 কিন্তু ধরা পড়লে তাকে সাত গুণ ফিরিয়ে দিতে হবে,তার বাড়ির সর্বস্বও তুলে দিতে হবে।
32 যে পুরুষ জেনা করে সে বুদ্ধিবিহীন,সে তা করে নিজের প্রাণ নিজে নষ্ট করে।
33 সে আঘাত ও অবমাননা পাবে;তার দুর্নাম কখনও ঘুচবে না।
34 যেহেতু অন্তর্জ্বালা স্বামীর ক্রোধ জাগিয়ে তোলে,প্রতিশোধের দিনে সে ক্ষমা করবে না;
35 সে কোন রকম ক্ষতিপূরণই গ্রাহ্য করবে না,অনেক ঘুষ দিলেও সম্মত হবে না।