10-11 সপ্তম দিনে রাজা অহশ্বেরশ আংগুর-রস খেয়ে খুব খুশী হয়ে উঠলেন এবং মহূমন, বিস্থা, হর্বোণা, বিগ্থা, অবগথ, সেথর ও কর্কস নামে তাঁর সাতজন সেবাকারীকে হুকুম দিলেন যেন রাণী বষ্টীকে রাজমুকুট পরিয়ে তাঁর সামনে আনা হয়। রাণী দেখতে সুন্দরী ছিলেন বলে রাজা লোকদের ও উঁচু পদের কর্মচারীদের সামনে তাঁর সৌন্দর্য দেখাতে চেয়েছিলেন।
12 রাজার সেবাকারীরা রাজার আদেশ রাণীকে জানালে পর রাণী বষ্টী আসতে রাজী হলেন না। এতে রাজা ভীষণ রেগে আগুন হয়ে গেলেন।
13 আইন ও বিচার সম্বন্ধে দক্ষ লোকদের সংগে রাজার পরামর্শ করবার নিয়ম ছিল বলে তিনি সেই পরামর্শদাতাদের সংগে এই বিষয় নিয়ে কথা বললেন।
14 সেই সব পরামর্শদাতাদের মধ্যে কর্শনা, শেথর, অদ্মাথা, তর্শীশ, মেরস, মর্সনা ও মমূখনের উপরে রাজা বেশী নির্ভর করতেন। রাজার সামনে পারস্য ও মাদিয়া দেশের এই সাতজন উঁচু পদের কর্মচারীদের উপস্থিত হবার অধিকার ছিল এবং রাজ্যের মধ্যে সব চেয়ে বড় স্থান ছিল তাঁদের।
15 রাজা জিজ্ঞাসা করলেন, “আইন অনুসারে রাণী বষ্টীর প্রতি কি করা উচিত? তাঁর সেবাকারীদের দ্বারা রাজা অহশ্বেরশ যে আদেশ রাণীকে পাঠিয়েছিলেন তা তিনি পালন করেন নি।”
16 রাজা ও উঁচু পদের কর্মচারীদের সামনে মমূখন উত্তরে বললেন, “রাণী বষ্টী যে কেবল রাজার বিরুদ্ধে অন্যায় করেছেন তা নয়, কিন্তু রাজা অহশ্বেরশের সমস্ত উঁচু পদের কর্মচারী ও সমস্ত বিভাগের সমস্ত লোকদের বিরুদ্ধে অন্যায় করেছেন।
17 রাণীর এই রকম ব্যবহারের কথা সমস্ত স্ত্রীলোকদের মধ্যে জানাজানি হয়ে যাবে এবং তারা তাদের স্বামীদের তুচ্ছ করে বলবে, ‘রাজা অহশ্বেরশের সামনে যাবার জন্য আদেশ পেয়েও রাণী বষ্টী তাঁর সামনে যান নি।’