1 এই সব ঘটনার পরে রাজা অহশ্বেরশ অগাগীয় হম্মদাথার ছেলে হামনকে রাজ্যের অন্যান্য কর্মকর্তাদের চেয়ে উঁচু পদ দিয়ে সম্মানিত করলেন।
2 রাজবাড়ীর ফটকে থাকা কর্মচারীরা হাঁটু পেতে হামনকে সম্মান দেখাত, কারণ রাজা তার সম্বন্ধে সেই রকমই আদেশ দিয়েছিলেন। কিন্তু মর্দখয় হাঁটুও পাততেন না কিম্বা তাকে সম্মানও দেখাতেন না।
3 এতে রাজবাড়ীর ফটকের কর্মচারীরা মর্দখয়কে বলল, “রাজার আদেশ তুমি অমান্য কর কেন?”
4 দিনের পর দিন তারা তাঁকে বললেও তিনি তা মানতে রাজী হলেন না। কাজেই তারা হামনকে সেই কথা জানাল। তারা দেখতে চাইল মর্দখয়ের এই ব্যবহার গ্রাহ্য করা হবে কি না, কারণ তিনি যে একজন যিহূদী সেই কথা তিনি তাদের বলেছিলেন।
5 মর্দখয় হাঁটুও পাতেন না এবং তাকে সম্মানও দেখান না জানতে পেরে হামন খুব রেগে গেল।
6 কিন্তু মর্দখয়ের জাতি সম্বন্ধে জানতে পেরে কেবল মর্দখয়কে মেরে ফেলা একটা সামান্য বিষয় বলে সে মনে করল। এর বদলে সে একটা উপায় খুঁজতে লাগল যাতে অহশ্বেরশের গোটা রাজ্যের মধ্য থেকে মর্দখয়ের লোকদের, অর্থাৎ যিহূদীদের ধ্বংস করে ফেলতে পারে।
7 রাজা অহশ্বেরশের রাজত্বের বারো বছরের প্রথম মাসে, অর্থাৎ নীষণ মাসে একটা দিন ও মাস বেছে নেবার জন্য লোকেরা হামনের সামনে পূর, অর্থাৎ গুলিবাঁট করতে লাগল। তাতে বারো মাসের, অর্থাৎ অদর মাসের বেলায় গুলি উঠল।
8 হামন তখন রাজা অহশ্বেরশকে বলল, “আপনার রাজ্যের সমস্ত বিভাগের বিভিন্ন জাতির মধ্যে একটা জাতি ছড়িয়ে রয়েছে। অন্য সব জাতি থেকে তাদের নিয়ম-কানুন আলাদা এবং তারা রাজার আইন মানে না। কাজেই তাদের বাঁচতে দেওয়া রাজার পক্ষে ভাল হবে না।
9 রাজার যদি ভাল মনে হয় তবে তাদের ধ্বংস করে ফেলবার জন্য একটা হুকুম জারি করা হোক। তাতে রাজ-ভাণ্ডারে রাখবার জন্য রাজার কাজ পরিচালনাকারীদের হাতে আমি তিনশো নব্বই টন রূপা দেব।”
10 রাজা তখন নিজের আংগুল থেকে স্বাক্ষর দেবার আংটি খুলে নিয়ে যিহূদীদের শত্রু অগাগীয় হম্মদাথার ছেলে হামনকে দিলেন।
11 রাজা হামনকে বললেন, “টাকাও তোমার আর লোকেরাও তোমার; কাজেই সেই টাকা ও লোকদের নিয়ে তোমার যা ভাল মনে হয় তা-ই কর।”
12 তারপর প্রথম মাসের তেরো দিনের দিন রাজার লেখকদের ডাকা হল। তারা প্রত্যেকটি বিভাগের অক্ষর ও প্রত্যেকটি জাতির ভাষা অনুসারে হামনের সমস্ত আদেশ বিভিন্ন প্রদেশের ও বিভাগের শাসনকর্তাদের এবং বিভিন্ন জাতির নেতাদের কাছে লিখে জানাল। সেগুলো রাজা অহশ্বেরশের নামে লেখা হল এবং রাজার নিজের আংটি দিয়ে সীলমোহর করা হল।
13 রাজার সমস্ত বিভাগগুলোতে সংবাদ বাহকদের দিয়ে চিঠি পাঠানো হল। সেই চিঠিতে হুকুম দেওয়া হল যেন অদর নামে বারো মাসের তেরো দিনের দিন যিহূদীদের সমস্ত ছেলে-বুড়ো-শিশু-স্ত্রীলোককে, অর্থাৎ সবাইকে ধ্বংস করা হয়, অর্থাৎ মেরে ফেলা হয়, অর্থাৎ একেবারে শেষ করে দেওয়া হয়। এছাড়া তাদের জিনিসপত্র যেন লুট করা হয়।
14 আইন হিসাবে সেই আদেশের নকল প্রত্যেকটি বিভাগে পাঠিয়ে সমস্ত জাতির লোকদের জানানো হল যাতে সেই দিনের জন্য তারা প্রস্তুত হয়।
15 রাজার আদেশ পেয়ে সংবাদ বাহকেরা তাড়াতাড়ি বেরিয়ে গেল এবং শূশনের দুর্গেও সেই আদেশ প্রচার করা হল। তারপর রাজা ও হামন আংগুর-রস খেতে বসলেন আর এদিকে শূশন শহরের মধ্যে হৈ চৈ পড়ে গেল।