3 এতে রাজবাড়ীর ফটকের কর্মচারীরা মর্দখয়কে বলল, “রাজার আদেশ তুমি অমান্য কর কেন?”
4 দিনের পর দিন তারা তাঁকে বললেও তিনি তা মানতে রাজী হলেন না। কাজেই তারা হামনকে সেই কথা জানাল। তারা দেখতে চাইল মর্দখয়ের এই ব্যবহার গ্রাহ্য করা হবে কি না, কারণ তিনি যে একজন যিহূদী সেই কথা তিনি তাদের বলেছিলেন।
5 মর্দখয় হাঁটুও পাতেন না এবং তাকে সম্মানও দেখান না জানতে পেরে হামন খুব রেগে গেল।
6 কিন্তু মর্দখয়ের জাতি সম্বন্ধে জানতে পেরে কেবল মর্দখয়কে মেরে ফেলা একটা সামান্য বিষয় বলে সে মনে করল। এর বদলে সে একটা উপায় খুঁজতে লাগল যাতে অহশ্বেরশের গোটা রাজ্যের মধ্য থেকে মর্দখয়ের লোকদের, অর্থাৎ যিহূদীদের ধ্বংস করে ফেলতে পারে।
7 রাজা অহশ্বেরশের রাজত্বের বারো বছরের প্রথম মাসে, অর্থাৎ নীষণ মাসে একটা দিন ও মাস বেছে নেবার জন্য লোকেরা হামনের সামনে পূর, অর্থাৎ গুলিবাঁট করতে লাগল। তাতে বারো মাসের, অর্থাৎ অদর মাসের বেলায় গুলি উঠল।
8 হামন তখন রাজা অহশ্বেরশকে বলল, “আপনার রাজ্যের সমস্ত বিভাগের বিভিন্ন জাতির মধ্যে একটা জাতি ছড়িয়ে রয়েছে। অন্য সব জাতি থেকে তাদের নিয়ম-কানুন আলাদা এবং তারা রাজার আইন মানে না। কাজেই তাদের বাঁচতে দেওয়া রাজার পক্ষে ভাল হবে না।
9 রাজার যদি ভাল মনে হয় তবে তাদের ধ্বংস করে ফেলবার জন্য একটা হুকুম জারি করা হোক। তাতে রাজ-ভাণ্ডারে রাখবার জন্য রাজার কাজ পরিচালনাকারীদের হাতে আমি তিনশো নব্বই টন রূপা দেব।”