10 কাজেই তুমি এখন যাও। আমি তোমাকে ফরৌণের কাছে পাঠাচ্ছি। তুমি গিয়ে আমার লোকদের, অর্থাৎ ইস্রায়েলীয়দের মিসর থেকে বের করে আনবে।”
11 কিন্তু মোশি ঈশ্বরকে বললেন, “আমি এমন কেউ নই যে, ফরৌণের কাছে গিয়ে মিসর থেকে ইস্রায়েলীয়দের বের করে আনতে পারি।”
12 ঈশ্বর বললেন, “আমিই তোমার সংগে থাকব। তুমি মিসর থেকে লোকদের বের করে আনবে আর তোমরা এই পাহাড়েই আমার উপাসনা করবে। আমিই যে তোমাকে পাঠালাম এটাই হবে তোমার কাছে তার চিহ্ন।”
13 তখন মোশি ঈশ্বরকে বললেন, “কিন্তু আমি গিয়ে ইস্রায়েলীয়দের যখন বলব তাদের পূর্বপুরুষদের ঈশ্বরই আমাকে তাদের কাছে পাঠিয়েছেন, তখন তারা হয়তো আমাকে জিজ্ঞাসা করবে, ‘তাঁর নাম কি?’ সেই সময়ে আমি তাদের কি উত্তর দেব? ”
14 ঈশ্বর মোশিকে বললেন, “যিনি ‘আমি আছি’ আমিই তিনি। তুমি ইস্রায়েলীয়দের বলবে যে, ‘আমি আছি’ তাদের কাছে তোমাকে পাঠিয়েছেন।
15 তুমি তাদের আরও বলবে যে, তাদের পূর্বপুরুষ অব্রাহাম, ইস্হাক ও যাকোবের ঈশ্বর সদাপ্রভু তোমাকে তাদের কাছে পাঠিয়েছেন। আমার চিরকালের নাম সদাপ্রভু। বংশের পর বংশ ধরে আমাকে এই নামেই লোকে মনে রাখবে।
16 তুমি গিয়ে ইস্রায়েলীয় বৃদ্ধ নেতাদের একসংগে জড়ো করে তাদের বলবে যে, তাদের পূর্বপুরুষ অব্রাহাম, ইস্হাক ও যাকোবের ঈশ্বর সদাপ্রভুই তোমাকে দেখা দিয়ে বলেছেন, ‘তোমাদের দিকে এবং মিসরে তোমাদের প্রতি যা করা হচ্ছে তার দিকে আমার খেয়াল আছে।