17 তাতে মহাপুরোহিত অসরিয় এবং সদাপ্রভুর আশিজন সাহসী পুরোহিত রাজার পিছনে পিছনে ভিতরে গেলেন।
18 তাঁরা তাঁকে বাধা দেবার জন্য বললেন, “উষিয়, সদাপ্রভুর উদ্দেশে ধূপ জ্বালাবার অধিকার আপনার নেই। হারোণের বংশধরদের, যাদের ধূপ জ্বালাবার জন্য আলাদা করা হয়েছে, সেই পুরোহিতদেরই অধিকার আছে। এই পবিত্র জায়গা থেকে আপনি বের হয়ে যান, কারণ আপনি পাপ করেছেন। এর ফলে ঈশ্বর সদাপ্রভু নিশ্চয়ই আপনাকে শাস্তি দেবেন।”
19 তখন উষিয় রেগে আগুন হয়ে গেলেন; তাঁর হাতে ধূপ জ্বালাবার জন্য একটা ধূপদানি ছিল। সদাপ্রভুর ঘরে ধূপ-বেদীর সামনে পুরোহিতদের উপর যখন তিনি রাগ করছিলেন তখন তাঁর কপালে একটা খারাপ চর্মরোগ দেখা দিল।
20 প্রধান পুরোহিত অসরিয় ও অন্যান্য সব পুরোহিতেরা তাঁর দিকে তাকিয়ে তাঁর কপালে সেই চর্মরোগ দেখতে পেলেন। কাজেই তাঁরা তাড়াতাড়ি তাঁকে বের করে দিলেন। তিনি নিজেও তাড়াতাড়ি বেরিয়ে যেতে চাইলেন, কারণ সদাপ্রভু তাঁকে আঘাত করেছিলেন।
21 মৃত্যু পর্যন্ত রাজা উষিয় চর্মরোগী ছিলেন। তিনি একটা আলাদা ঘরে বাস করতেন, কারণ সদাপ্রভুর ঘরে যাওয়া থেকে তিনি বাদ পড়েছিলেন। তাতে রাজার দায়িত্ব তাঁর ছেলে যোথমের উপর পড়ল এবং তিনি দেশের লোকদের শাসন করতে লাগলেন।
22 উষিয়ের অন্যান্য সমস্ত কাজের কথা প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত আমোসের ছেলে নবী যিশাইয় লিখে রেখেছেন।
23 পরে উষিয় তাঁর পূর্বপুরুষদের কাছে চলে গেলেন। তাঁকে রাজাদের কবরস্থানের পাশে একটা মাঠে তাঁর পূর্বপুরুষদের সংগে কবর দেওয়া হল, কারণ লোকেরা বলল, “তাঁর চর্মরোগ হয়েছিল।” তাঁর জায়গায় তাঁর ছেলে যোথম রাজা হলেন।