1 তারপর যিহূদার সমস্ত লোক উষিয়কে তাঁর বাবা অমৎসিয়ের জায়গায় রাজা করল। তখন তাঁর বয়স ছিল ষোল বছর।
2 অমৎসিয় তাঁর পূর্বপুরুষদের কাছে চলে যাবার পর উষিয় এলৎ শহরটা আবার তৈরী করলেন এবং যিহূদার অধীনে আনলেন।
3 উষিয় ষোল বছর বয়সে রাজা হয়েছিলেন এবং যিরূশালেমে বাহান্ন বছর রাজত্ব করেছিলেন। তাঁর মায়ের নাম ছিল যিখলিয়া; তিনি ছিলেন যিরূশালেম শহরের মেয়ে।
4 উষিয় তাঁর বাবা অমৎসিয়ের মতই সদাপ্রভুর চোখে যা ভাল তা-ই করতেন।
5 সখরিয়ের সময়কালে তিনি ঈশ্বরের ইচ্ছামত চলতেন। ঈশ্বরকে ভয় করতে সখরিয় তাঁকে উপদেশ দিতেন। যতদিন তিনি সদাপ্রভুর ইচ্ছামত চলেছিলেন ততদিন ঈশ্বরও তাঁকে সফলতা দান করেছিলেন।
6 তিনি পলেষ্টীয়দের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করলেন এবং গাৎ, যব্নির ও অস্দোদের দেয়াল ভেংগে ফেললেন। তারপর তিনি অস্দোদ এলাকায় এবং পলেষ্টীয়দের অন্যান্য জায়গায় কতগুলো দেয়াল-ঘেরা গ্রাম আবার গড়ে তুললেন।
7 ঈশ্বর পলেষ্টীয়দের, গূরবালে বাসকারী আরবীয়দের এবং মিয়ূনীয়দের বিরুদ্ধে তাঁকে সাহায্য করলেন।
8 অম্মোনীয়েরা উষিয়কে কর্ দিত। তিনি খুব শক্তিশালী হয়ে উঠেছিলেন বলে মিসরের সীমানা পর্যন্ত তাঁর সুনাম ছড়িয়ে পড়েছিল।
9 উষিয় যিরূশালেমের কোণার ফটকে, উপত্যকা-ফটকে এবং দেয়ালের কোণে উঁচু পাহারা-ঘর তৈরী করে সেগুলো শক্তিশালী করলেন।
10 নীচু পাহাড়ী এলাকায় এবং সমভূমিতে তাঁর অনেক পশুপাল ছিল; সেইজন্য তিনি মরু-এলাকায় উঁচু উঁচু পাহারা-ঘর তৈরী করলেন এবং অনেক কূয়া খুঁড়লেন। তাঁর লোকেরা উর্বর জমিতে চাষ করত এবং পাহাড়ে আংগুর ক্ষেত করত, কারণ তিনি কৃষিকাজ ভালবাসতেন।
11 উষিয়ের একটা দক্ষ সৈন্যদল ছিল। তারা হনানীয় নামে একজন সেনাপতির পরিচালনার অধীনে ছিল এবং লেখক যিয়ূয়েল ও কর্মকর্তা মাসেয়ের ঠিক করা সংখ্যা অনুসারে তারা দলে দলে যুদ্ধে যাবার জন্য প্রস্তুত থাকত।
12-13 তাদের মোট সংখ্যা ছিল তিন লক্ষ সাত হাজার পাঁচশো। এই সব দক্ষ যোদ্ধারা দু’হাজার ছ’শো বংশ-নেতার অধীনে ছিল। শত্রুদের বিরুদ্ধে রাজাকে সাহায্য করবার জন্য এরা ছিল একটা শক্তিশালী সৈন্যদল।
14 উষিয় সমস্ত সৈন্যদলের জন্য ঢাল, বর্শা, মাথা রক্ষার টুপি, বর্ম, ধনুক ও ফিংগার পাথর যোগান দিতেন।
15 তিনি যিরূশালেমে দক্ষ লোকদের তৈরী যন্ত্রপাতি উঁচু পাহারা-ঘরগুলোতে এবং দেয়ালের কোণায় কোণায় রাখলেন যাতে সেখান থেকে তীর ও বড় বড় পাথর ছুঁড়ে মারা যায়। তাঁর সুনাম দূর দেশে ছড়িয়ে গেল। তিনি ঈশ্বরের অনেক সাহায্য পেয়ে শক্তিশালী হয়ে উঠলেন।
16 উষিয় শক্তিশালী হয়ে উঠলে পর তাঁর মনে অহংকার আসল এবং তাতে তাঁর পতন হল। তিনি ধূপ-বেদীতে ধূপ জ্বালাবার জন্য সদাপ্রভুর ঘরে ঢুকে তাঁর ঈশ্বর সদাপ্রভুর বিরুদ্ধে পাপ করলেন।
17 তাতে মহাপুরোহিত অসরিয় এবং সদাপ্রভুর আশিজন সাহসী পুরোহিত রাজার পিছনে পিছনে ভিতরে গেলেন।
18 তাঁরা তাঁকে বাধা দেবার জন্য বললেন, “উষিয়, সদাপ্রভুর উদ্দেশে ধূপ জ্বালাবার অধিকার আপনার নেই। হারোণের বংশধরদের, যাদের ধূপ জ্বালাবার জন্য আলাদা করা হয়েছে, সেই পুরোহিতদেরই অধিকার আছে। এই পবিত্র জায়গা থেকে আপনি বের হয়ে যান, কারণ আপনি পাপ করেছেন। এর ফলে ঈশ্বর সদাপ্রভু নিশ্চয়ই আপনাকে শাস্তি দেবেন।”
19 তখন উষিয় রেগে আগুন হয়ে গেলেন; তাঁর হাতে ধূপ জ্বালাবার জন্য একটা ধূপদানি ছিল। সদাপ্রভুর ঘরে ধূপ-বেদীর সামনে পুরোহিতদের উপর যখন তিনি রাগ করছিলেন তখন তাঁর কপালে একটা খারাপ চর্মরোগ দেখা দিল।
20 প্রধান পুরোহিত অসরিয় ও অন্যান্য সব পুরোহিতেরা তাঁর দিকে তাকিয়ে তাঁর কপালে সেই চর্মরোগ দেখতে পেলেন। কাজেই তাঁরা তাড়াতাড়ি তাঁকে বের করে দিলেন। তিনি নিজেও তাড়াতাড়ি বেরিয়ে যেতে চাইলেন, কারণ সদাপ্রভু তাঁকে আঘাত করেছিলেন।
21 মৃত্যু পর্যন্ত রাজা উষিয় চর্মরোগী ছিলেন। তিনি একটা আলাদা ঘরে বাস করতেন, কারণ সদাপ্রভুর ঘরে যাওয়া থেকে তিনি বাদ পড়েছিলেন। তাতে রাজার দায়িত্ব তাঁর ছেলে যোথমের উপর পড়ল এবং তিনি দেশের লোকদের শাসন করতে লাগলেন।
22 উষিয়ের অন্যান্য সমস্ত কাজের কথা প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত আমোসের ছেলে নবী যিশাইয় লিখে রেখেছেন।
23 পরে উষিয় তাঁর পূর্বপুরুষদের কাছে চলে গেলেন। তাঁকে রাজাদের কবরস্থানের পাশে একটা মাঠে তাঁর পূর্বপুরুষদের সংগে কবর দেওয়া হল, কারণ লোকেরা বলল, “তাঁর চর্মরোগ হয়েছিল।” তাঁর জায়গায় তাঁর ছেলে যোথম রাজা হলেন।