28 গায়কেরা গান করতে ও তূরী বাদকেরা তূরী বাজাতে থাকলে সমস্ত লোক মাটিতে উবুড় হয়ে সদাপ্রভুকে ভক্তি জানাল। পোড়ানো-উৎসর্গের অনুষ্ঠান শেষ না হওয়া পর্যন্ত এই সব চলতে থাকল।
29 উৎসর্গের অনুষ্ঠান শেষ হলে পর রাজা ও তাঁর সংগের সকলে হাঁটু পেতে সদাপ্রভুকে ভক্তি জানালেন।
30 রাজা হিষ্কিয় ও তাঁর কর্মচারীরা দায়ূদের এবং দর্শক আসফের রচনা-করা গান দিয়ে সদাপ্রভুর উদ্দেশে প্রশংসা করবার জন্য লেবীয়দের আদেশ দিলেন। তখন তারা খুশী হয়ে প্রশংসা-গান করল এবং মাটিতে মাথা ঠেকিয়ে সদাপ্রভুকে ভক্তি জানাল।
31 এর পর হিষ্কিয় বললেন, “আপনারা এখন সদাপ্রভুর কাছে নিজেদের দিয়ে দিয়েছেন। এবার আপনারা এসে সদাপ্রভুর ঘরে পশু-উৎসর্গ ও কৃতজ্ঞতা-উৎসর্গের অনুষ্ঠানের জিনিস আনুন।” তখন সবাই তা আনল এবং যাদের অন্তর চাইল তারা পোড়ানো-উৎসর্গের অনুষ্ঠানের জিনিসও আনল।
32 তারা পোড়ানো-উৎসর্গের জন্য সত্তরটা ষাঁড়, একশোটা ভেড়া ও দু’শোটা ভেড়ার বাচ্চা নিয়ে আসল। এই সব ছিল সদাপ্রভুর উদ্দেশে পোড়ানো-উৎসর্গের অনুষ্ঠানের জন্য।
33 উৎসর্গের জন্য যে সব পশু আলাদা করে রাখা হয়েছিল সেগুলোর সংখ্যা হল ছ’শো ষাঁড় ও তিন হাজার ছাগল-ভেড়া।
34 পুরোহিতদের সংখ্যা কম হওয়াতে তাঁরা সমস্ত পোড়ানো-উৎসর্গের পশুর চামড়া ছাড়াতে পারলেন না; কাজেই কাজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত এবং অন্য পুরোহিতেরা শুচি না হওয়া পর্যন্ত তাঁদের লেবীয় ভাইয়েরা তাঁদের কাজে সাহায্য করল, কারণ নিজেদের শুচি করবার ব্যাপারে পুরোহিতদের চেয়ে লেবীয়েরা আরও বেশী মনোযোগী ছিল।