26 সে বলল, “আমার প্রভু মহারাজ, আপনার দাস আমি খোঁড়া, তাই বলেছিলাম, ‘আমার গাধার উপর গদি চাপিয়ে আমি তার উপরে চড়ে রাজার সংগে যাব।’ কিন্তু আমার চাকর সীবঃ আমার সংগে বিশ্বাসঘাতকতা করেছিল।
27 আমার প্রভু মহারাজের কাছে সে আমার দুর্নাম করেছে। আমার প্রভু মহারাজ ঈশ্বরের একজন দূতের মত; তাই আমার উপর আপনার যা খুশী তা-ই করুন।
28 আমার দাদুর বংশধরেরা আমার প্রভু মহারাজের কাছে মৃত্যুর উপযুক্ত, কিন্তু তবুও আপনার যে লোকেরা আপনার টেবিলে খেতে বসে আপনি আপনার এই দাসকেও তাদের মধ্যে একটা জায়গা দিয়েছিলেন। তাহলে মহারাজের কাছে আর অনুরোধ করবার আমার কি অধিকার আছে?”
29 রাজা তাকে বললেন, “তোমার আর কিছু বলবার দরকার নেই। তুমি আর সীবঃ জমাজমি ভাগ করে নাও।”
30 মফীবোশৎ রাজাকে বলল, “সে-ই সব কিছু নিক। আমার প্রভু মহারাজ নিরাপদে বাড়ী ফিরে এসেছেন সেটাই আমার পক্ষে যথেষ্ট।”
31 রাজা যিরূশালেমে ফিরে আসবার আগে গিলিয়দীয় বর্সিল্লয় রোগলীম থেকে এসে রাজাকে বিদায় দেবার জন্য তাঁর সংগে যর্দনের পারে এসেছিলেন।
32 বর্সিল্লয় খুব বুড়ো হয়ে গিয়েছিলেন; তাঁর বয়স ছিল আশি বছর। রাজা যখন মহনয়িমে ছিলেন তখন তিনিই তাঁর জন্য খাবার-দাবারের ব্যবস্থা করেছিলেন, কারণ তিনি খুব ধনী লোক ছিলেন।