28 পরে তারা চিৎকার করে বলতে লাগল, “ইস্রায়েলীয়েরা, এগিয়ে এস। সব জায়গার মানুষের কাছে আমাদের জাতি এবং আমাদের আইন-কানুন ও উপাসনা-ঘরের বিরুদ্ধে যে লোক শিক্ষা দিয়ে বেড়ায়, এ-ই সেই লোক। তা ছাড়া সে উপাসনা-ঘরে গ্রীকদের এনে এই পবিত্র জায়গা অপবিত্র করেছে।”
29 তারা এই কথা বলল কারণ তারা আগে ইফিষীয় ত্রফিমকে পৌলের সংগে শহরের মধ্যে দেখেছিল। সেইজন্য তারা ভেবেছিল, পৌল ত্রফিমকে উপাসনা-ঘরেও এনেছেন।
30 তখন সারা শহর উত্তেজিত হয়ে উঠল। লোকেরা একসংগে দৌড়ে এসে পৌলকে ধরে উপাসনা-ঘর থেকে টেনে বের করে আনল এবং সংগে সংগেই উপাসনা-ঘরের দরজাগুলো বন্ধ করে দিল।
31 লোকেরা পৌলকে মেরে ফেলবার চেষ্টা করছিল, এমন সময় রোমীয় সৈন্যদের প্রধান সেনাপতির কাছে খবর গেল যে, সারা যিরূশালেম শহরে একটা হুলস্থূল পড়ে গেছে।
32 সেই প্রধান সেনাপতি তখনই কয়েকজন শতপতি ও সৈন্যদের নিয়ে দৌড়ে ভিড়ের কাছে গেলেন। লোকেরা প্রধান সেনাপতি ও সৈন্যদের দেখে পৌলকে মারা বন্ধ করল।
33 তখন প্রধান সেনাপতি এসে পৌলকে বন্দী করলেন এবং দু’টা শিকল দিয়ে তাঁকে বাঁধবার হুকুম দিলেন। তার পরে তিনি জিজ্ঞাসা করলেন, “লোকটি কে? সে কি করেছে?”
34 তখন লোকদের মধ্য থেকে কয়েকজন চিৎকার করে এক রকম কথা বলল, আবার কয়েকজন অন্য রকম কথা বলল। তাতে প্রধান সেনাপতি গোলমালের জন্য আসল ব্যাপার জানতে না পেরে পৌলকে সেনানিবাসে নিয়ে যাবার হুকুম দিলেন।