10 “দু’জন লোক প্রার্থনা করবার জন্য উপাসনা-ঘরে গেলেন। তাঁদের মধ্যে একজন ছিলেন ফরীশী ও অন্যজন কর্-আদায়কারী।
11 সেই ফরীশী দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে নিজের বিষয়ে এই প্রার্থনা করলেন, ‘হে ঈশ্বর, আমি তোমাকে ধন্যবাদ দিই যে, আমি অন্য লোকদের মত ঠগ, অসৎ ও ব্যভিচারী নই, এমন কি, ঐ কর্-আদায়কারীর মতও নই।
12 আমি সপ্তায় দু’বার উপবাস করি এবং আমার সমস্ত আয়ের দশ ভাগের এক ভাগ তোমাকে দিই।’
13 সেই সময় সেই কর্-আদায়কারী কিছু দূরে দাঁড়িয়ে ছিল। আকাশের দিকে তাকাবারও তার সাহস হল না; সে বুক চাপ্ড়ে বলল, ‘হে ঈশ্বর! আমি পাপী; আমার প্রতি করুণা কর।’
14 “আমি তোমাদের বলছি, সেই কর্-আদায়কারীকে ঈশ্বর নির্দোষ বলে গ্রহণ করলেন আর সে বাড়ী ফিরে গেল। কিন্তু সেই ফরীশীকে তিনি নির্দোষ বলে গ্রহণ করলেন না। যে কেউ নিজেকে উঁচু করে তাকে নীচু করা হবে এবং যে নিজেকে নীচু করে তাকে উঁচু করা হবে।”
15 লোকেরা ছোট ছেলেমেয়েদের যীশুর কাছে নিয়ে আসল যেন তিনি তাদের উপর হাত রাখেন। শিষ্যেরা এ দেখে সেই লোকদের বকুনি দিতে লাগলেন।
16 কিন্তু যীশু সেই ছেলেমেয়েদের নিজের কাছে ডেকে নিলেন। তারপর তিনি শিষ্যদের বললেন, “ছেলেমেয়েদের আমার কাছে আসতে দাও, বাধা দিও না; কারণ ঈশ্বরের রাজ্য এদের মত লোকদেরই।