21 সোলায়মানের পানীয়ের সমস্ত পাত্রগুলো ছিল সোনার আর লেবানন্তবন্তকুটিরের সমস্ত পাত্রগুলোও ছিল খাঁটি সোনার তৈরী। রূপার তৈরী কিছুই ছিল না, কারণ সোলায়মানের সময়ে রূপার তেমন কোন দাম ছিল না।
22 সাগরে হীরমের জাহাজের সংগে বাদশাহ্রও বড় বড় তর্শীশ-জাহাজ ছিল। প্রতি তিন বছর পর পর সেই জাহাজগুলো সোনা, রূপা, হাতির দাঁত, বানর ও বেবুন নিয়ে ফিরে আসত।
23 বাদশাহ্ সোলায়মান দুনিয়ার অন্য সব বাদশাহ্দের চেয়ে ধনী ও জ্ঞানী হয়ে উঠেছিলেন।
24 আল্লাহ্ সোলায়মানের দিলে যে জ্ঞান দিয়েছিলেন সেই জ্ঞানপূর্ণ কথাবার্তা শুনবার জন্য দুনিয়ার সব দেশের লোক তাঁর সংগে দেখা করতে চেষ্টা করত।
25 যারা আসত তারা প্রত্যেকে কিছু না কিছু উপহার আনত। সেগুলোর মধ্যে ছিল সোনা-রূপার পাত্র, কাপড়-চোপড়, অস্ত্রশস্ত্র, খোশবু মসলা, ঘোড়া আর খ"চর। বছরের পর বছর এই রকম চলত।
26 সোলায়মান অনেক রথ ও ঘোড়া জোগাড় করলেন। তাঁর রথের সংখ্যা ছিল এক হাজার চারশো আর ঘোড়ার সংখ্যা ছিল বারো হাজার। তিনি সেগুলো রথ রাখবার শহরে এবং জেরুজালেমে নিজের কাছে রাখতেন।
27 বাদশাহ্ জেরুজালেমে রূপাকে করলেন পাথরের মত প্রচুর, আর এরস কাঠকে করলেন নীচু পাহাড়ী এলাকায় গজানো ডুমুর গাছের মত প্রচুর।