17 যিহোয়াদার ইন্তেকালের পরে এহুদার নেতারা এসে বাদশাহ্কে সালাম জানালেন আর বাদশাহ্ তাঁদের কথাই শুনলেন।
18 তাঁরা তাঁদের পূর্বপুরুষদের মাবুদ আল্লাহ্র ঘর ত্যাগ করে আশেরা-খুঁটির ও মূর্তি পূজা করতে লাগলেন। তাঁদের এই গুনাহের জন্য আল্লাহ্র গজব এহুদা ও জেরুজালেমের উপর নেমে আসল।
19 যদিও মাবুদ লোকদের তাঁর কাছে ফিরিয়ে আনবার জন্য নবীদের পাঠালেন এবং তাঁরা লোকদের সাবধান করলেন তবুও তারা শুনল না।
20 তখন আল্লাহ্র রূহ্ ইমাম যিহোয়াদার ছেলে জাকারিয়ার উপর আসলেন। তিনি লোকদের সামনে দাঁড়িয়ে বললেন, “আল্লাহ্ এই কথা বলছেন, ‘মাবুদের হুকুম তোমরা অমান্য করছ কেন? তোমরা এতে সফল হবে না। তোমরা মাবুদকে ত্যাগ করেছ বলে তিনিও তোমাদের ত্যাগ করেছেন।’ ”
21 কিন্তু লোকেরা জাকারিয়ার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করল এবং বাদশাহ্র হুকুমে মাবুদের ঘরের উঠানে তাঁকে পাথর ছুঁড়ে হত্যা করল।
22 জাকারিয়ার পিতা যিহোয়াদা বাদশাহ্ যোয়াশের প্রতি যে বিশ্বস্ততা দেখিয়েছিলেন তা যোয়াশ মনে না রেখে তাঁর ছেলেকে হত্যা করলেন। জাকারিয়া মারা যাবার সময় বলেছিলেন, “মাবুদ এই কাজ দেখে আপনাকে শাস্তি দেবেন।”
23 পরের বছর সিরিয়ার সৈন্যেরা যোয়াশের বিরুদ্ধে আসল। তারা এহুদা ও জেরুজালেম আক্রমণ করে সব নেতাদের হত্যা করল এবং দামেস্কে তাদের বাদশাহ্র কাছে সমস্ত লুটের জিনিস পাঠিয়ে দিল।