1 আল্লাহ্র রূহ্ ওদেদের ছেলে অসরিয়ের উপরে আসলেন।
2 তখন অসরিয় আসার সংগে দেখা করতে গিয়ে বললেন, “হে আসা, হে এহুদা ও বিন্ইয়ামীনের সমস্ত লোকেরা, আমার কথা শুনুন। আপনারা যতদিন মাবুদের সংগে থাকবেন ততদিন তিনিও আপনাদের সংগে থাকবেন। তাঁর ইচ্ছা জানতে চাইলে আপনারা তা জানতে পারবেন, কিন্তু তাঁকে যদি ত্যাগ করেন তবে তিনিও আপনাদের ত্যাগ করবেন।
3 বনি-ইসরাইলরা অনেক দিন ধরে সত্য আল্লাহ্ ছাড়া, শিক্ষা দেবার জন্য ইমাম ছাড়া এবং শরীয়ত ছাড়াই চলছিল।
4 কিন্তু তাদের দুঃখের দিনে তারা ইসরাইলের মাবুদ আল্লাহ্র দিকে ফিরে তাঁর ইচ্ছা জানতে চেয়েছিল এবং তা জানতেও পেরেছিল।
5 সেই দিনগুলোতে কোথাও যাওয়া-আসা করা নিরাপদ ছিল না, কারণ সমস্ত জায়গার লোকেরা তখন খুব অশান্ত অবস্থায় ছিল।
6 এক জাতি অন্য জাতির, এক শহর অন্য শহরের সর্বনাশ করবার চেষ্টা করত, কারণ নানা রকম বিপদ দিয়ে আল্লাহ্ তাদের কষ্ট দিচ্ছিলেন।
7 কিন্তু আপনারা শক্তিশালী হন, নিরাশ হবেন না, কারণ আপনাদের কাজের পুরস্কার আপনারা পাবেন।”
8 আসা এই সব কথা শুনে, অর্থাৎ ওদেদের ছেলে নবী অসরিয়ের ভবিষ্যদ্বাণী শুনে সাহস পেলেন। তিনি এহুদা ও বিন্ইয়ামীনের সমস্ত এলাকা থেকে এবং তাঁর অধিকার করা আফরাহীমের পাহাড়ী এলাকার গ্রাম ও শহরগুলো থেকে জঘন্য মূর্তিগুলো ধ্বংস করে দিলেন। তিনি মাবুদের ঘরের বারান্দার সামনে রাখা মাবুদের কোরবানগাহ্টি মেরামত করলেন।
9 তারপর তিনি এহুদা ও বিন্ইয়ামীনের সমস্ত লোকদের এবং আফরাহীম, মানশা ও শিমিয়োন এলাকার যে সব লোকেরা তাদের মধ্যে বাস করছিল তাদের এক সংগে জমায়েত করলেন। আসার মাবুদ আল্লাহ্ তাঁর সংগে আছেন দেখে ইসরাইলের অনেক লোক তাঁর পক্ষ নিয়ে তাঁর কাছে এসেছিল।
10 আসার রাজত্বের পনেরো বছরের তৃতীয় মাসে এই লোকেরা জেরুজালেমে এসে জমায়েত হয়েছিল।
11 তারা যা লুট করে এনেছিল তার মধ্য থেকে সেই সময় তারা সাতশো গরু ও সাত হাজার ভেড়া মাবুদের উদ্দেশে কোরবানী দিল।
12 তারা এই ওয়াদা করল যে, তারা সমস্ত মনপ্রাণ দিয়ে তাদের পূর্বপুরুষদের মাবুদ আল্লাহ্র ইচ্ছামত চলবে;
13 ছোট-বড়, স্ত্রী-পুরুষ যে-ই হোক না কেন যারা ইসরাইলের মাবুদ আল্লাহ্র ইচ্ছামত চলবে না তাদের হত্যা করা হবে।
14 তারা আনন্দে চিৎকার করে এবং তূরী ও শিংগা বাজিয়ে মাবুদের কাছে জোরে জোরে কসম খেল।
15 এই কসমে এহুদা দেশের সমস্ত লোক আনন্দ করল, কারণ সমস্ত দিল দিয়ে তারা সেই কসম খেয়েছিল। তারা আল্লাহ্র ইচ্ছা জানতে চেয়েছিল বলে তা জানতে পেরেছিল। তাই মাবুদ সব দিক থেকেই তাদের শান্তি দিয়েছিলেন।
16 বাদশাহ্ আসা তাঁর দাদী মা মাখাকে রাজমাতার পদ থেকে সরিয়ে দিলেন, কারণ তিনি একটা জঘন্য আশেরা-মূর্তি তৈরী করিয়েছিলেন। আসা সেটা কেটে ফেলে, ভেংগে কিদ্রোণ উপত্যকায় নিয়ে গিয়ে পুড়িয়ে দিলেন।
17 যদিও পূজার উঁচু স্থানগুলো তিনি ইসরাইল থেকে ধ্বংস করেন নি তবুও সারা জীবন তাঁর দিল মাবুদের প্রতি ভয়ে পূর্ণ ছিল।
18 তিনি ও তাঁর পিতা যে সব সোনা-রূপা ও অন্যান্য জিনিস পবিত্র করে রেখেছিলেন সেগুলো তিনি আল্লাহ্র ঘরে নিয়ে গেলেন।
19 আসার রাজত্বের পঁয়ত্রিশ বছর পর্যন্ত আর কোন যুদ্ধ হয় নি।