16 নবীর কথা শেষ না হতেই বাদশাহ্ তাঁকে বললেন, “আমরা কি বাদশাহ্র পরামর্শদাতা হিসাবে তোমাকে নিযুক্ত করেছি? তুমি থাম, নইলে তোমাকে মেরে ফেলা হবে।”এতে সেই নবী থামলেন, তবুও বললেন, “আমি জানি, আপনি এই কাজ করেছেন এবং আমার পরামর্শে কান দেন নি বলে আল্লাহ্ আপনাকে ধ্বংস করাই ঠিক করেছেন।”
17 পরে এহুদার বাদশাহ্ অমৎসিয় তাঁর মন্ত্রীদের সংগে পরামর্শ করে যেহূর নাতি, অর্থাৎ যিহোয়াহসের ছেলে ইসরাইলের বাদশাহ্ যিহোয়াশের কাছে বলে পাঠালেন, “আসুন, আমরা যুদ্ধের জন্য মুখোমুখি হই।”
18 কিন্তু ইসরাইলের বাদশাহ্ জবাবে এহুদার বাদশাহ্কে বলে পাঠালেন, “লেবাননের এক শিয়ালকাঁটা লেবাননেরই এরস গাছের কাছে বলে পাঠাল, ‘আমার ছেলের সংগে আপনার মেয়ের বিয়ে দিন।’ তারপর লেবাননের একটা বুনো জন্তু এসে সেই শিয়ালকাঁটাকে পায়ে মাড়িয়ে দিল।
19 ‘ইদোমকে হারিয়ে দিয়েছি,’ মনে মনে এই কথা ভেবে আপনি অহংকারে ফুলে উঠেছেন। এখন আপনি নিজের ঘরে থাকুন। কেন বিপদ ডেকে আনবেন এবং তার সংগে ডেকে আনবেন নিজের ও এহুদার ধ্বংস?”
20 কিন্তু অমৎসিয় সেই কথায় কান দিলেন না। এটা আল্লাহ্ থেকে হল, কারণ লোকেরা ইদোমের দেব-দেবীদের সাহায্য চেয়েছিল বলে আল্লাহ্ যিহোয়াশের হাতে তাদের তুলে দিতে চেয়েছিলেন।
21 সেইজন্য ইসরাইলের বাদশাহ্ যিহোয়াশ তাদের আক্রমণ করলেন। তিনি এবং এহুদার বাদশাহ্ অমৎসিয় এহুদার বৈৎ-শেমশে একে অন্যের মুখোমুখি হলেন।
22 ইসরাইলের কাছে এহুদা সম্পূর্ণভাবে হেরে গেল এবং প্রত্যেকে নিজের নিজের বাড়ীতে পালিয়ে গেল।