10 তখন লেখক শাফন এই কথা বাদশাহ্কে জানালেন, “ইমাম হিল্কিয় আমাকে একটি কিতাব দিয়েছেন।” এই বলে শাফন তা বাদশাহ্কে তেলাওয়াত করে শোনালেন।
11 তৌরাত কিতাবে যা লেখা ছিল তা শুনে বাদশাহ্ নিজের পোশাক ছিঁড়লেন।
12 তিনি ইমাম হিল্কিয়, শাফনের ছেলে অহীকাম, মিকায়ের ছেলে অক্বোর, শাফন ও বাদশাহ্র সাহায্যকারী অসায়কে এই হুকুম দিলেন,
13 “এই যে কিতাবটি পাওয়া গেছে তার মধ্যে যে সমস্ত কথা লেখা আছে সেই সব কথা সম্বন্ধে আপনারা গিয়ে আমার জন্য এবং এখানকার ও সমস্ত এহুদার লোকদের জন্য মাবুদের কাছে জিজ্ঞাসা করুন। মাবুদ আমাদের বিরুদ্ধে রাগের আগুনে জ্বলে উঠেছেন, কারণ আমাদের পূর্বপুরুষেরা এই কিতাবের কথামত চলেন নি এবং পালন করবার জন্য যে সব কথা সেখানে লেখা আছে সেই অনুসারে তাঁরা কাজ করেন নি।”
14 এই কথা শুনে ইমাম হিল্কিয়, অহীকাম, অক্বোর, শাফন ও অসায় মহিলা-নবী হুল্দার কাছে গিয়ে তাঁর সংগে কথাবার্তা বললেন। হুল্দা ছিলেন কাপড়-চোপড় রক্ষাকারী শল্লুমের স্ত্রী। শল্লূম ছিলেন হর্হসের নাতি, অর্থাৎ তিক্বের ছেলে। হুল্দা জেরুজালেমের দ্বিতীয় অংশে বাস করতেন।
15-16 হুল্দা তাঁদের বললেন, “ইসরাইলের মাবুদ আল্লাহ্ আমাকে বলতে বললেন যে, যিনি আপনাদের আমার কাছে পাঠিয়েছেন তাঁকে গিয়ে বলুন মাবুদ বলছেন, ‘এহুদার বাদশাহ্ এই কিতাবে লেখা যা কিছু পড়েছে আমি সেই অনুসারেই প্রত্যেকটা বিপদ এই জায়গার উপর ও তার লোকদের উপর নিয়ে আসব।
17 তারা আমাকে ত্যাগ করে দেব-দেবীদের উদ্দেশে ধূপ জ্বালিয়েছে এবং তাদের হাতের তৈরী সমস্ত প্রতিমার দ্বারা আমাকে রাগিয়েছে; সেইজন্য এই জায়গার বিরুদ্ধে আমার রাগের আগুন জ্বলে উঠবে এবং তা নিভানো যাবে না।’