1 যিহোয়াকীমের রাজত্বের সময় ব্যাবিলনের বাদশাহ্ বখতে-নাসার এহুদা দেশ হামলা করলেন। যিহোয়াকীম তিন বছর তাঁর অধীনে ছিলেন। কিন্তু পরে তিনি বখতে-নাসারের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করলেন।
2 মাবুদ যিহোয়াকীমের বিরুদ্ধে ব্যাবিলনীয়, সিরীয়, মোয়াবীয় ও অম্মোনীয় লুটেরাদের পাঠিয়ে দিলেন। মাবুদ তাঁর গোলামদের, অর্থাৎ নবীদের মধ্য দিয়ে যে কথা ঘোষণা করেছিলেন সেই অনুসারে এহুদা দেশকে ধ্বংস করবার জন্য তিনি তাদের পাঠিয়ে দিয়েছিলেন।
3-4 মাবুদের হুকুম অনুসারেই এহুদার প্রতি এই সব ঘটেছিল যাতে তিনি নিজের সামনে থেকে তাদের দূর করে দিতে পারেন। এই সব ঘটেছিল মানশার সমস্ত গুনাহের দরুন এবং নির্দোষ লোকদের রক্তপাতের দরুন। তিনি তাদের রক্তে জেরুজালেম পূর্ণ করেছিলেন, আর মাবুদ তা মাফ করতে রাজী হলেন না।
5 যিহোয়াকীমের অন্যান্য সমস্ত কাজের কথা “এহুদার বাদশাহ্দের ইতিহাস” নামে বইটিতে লেখা আছে।
6 পরে তিনি তাঁর পূর্বপুরুষদের কাছে চলে গেলেন এবং তাঁর জায়গায় তাঁর ছেলে যিহোয়াখীন বাদশাহ্ হলেন।
7 মিসরের বাদশাহ্ যুদ্ধ করবার জন্য তাঁর রাজ্য থেকে আর বের হন নি, কারণ ব্যাবিলনের বাদশাহ্ মিসরের শুকনা নদী থেকে ফোরাত নদী পর্যন্ত সমস্ত রাজ্যটা দখল করে নিয়েছিলেন।
8 আঠারো বছর বয়সের সময় যিহোয়াখীন বাদশাহ্ হয়েছিলেন এবং তিন মাস জেরুজালেমে রাজত্ব করেছিলেন। তাঁর মায়ের নাম ছিল নহুষ্টা; তিনি ছিলেন জেরুজালেম শহরের ইল্নাথনের মেয়ে।
9 যিহোয়াখীন তাঁর পিতার মতই মাবুদের চোখে যা খারাপ তা-ই করতেন।
10 সেই সময় ব্যাবিলনের বাদশাহ্ বখতে-নাসারের সৈন্যেরা জেরুজালেমে এসে তা ঘেরাও করল।
11 তাঁর সৈন্যেরা যখন শহর ঘেরাও করছিল তখন বখতে-নাসার নিজে শহরের কাছে গেলেন।
12 এহুদার বাদশাহ্ যিহোয়াখীন, তাঁর মা, তাঁর সাহায্যকারীরা, তাঁর সেনাপতিরা ও তাঁর কর্মচারীরা সবাই বখতে-নাসারের হাতে নিজেদের তুলে দিলেন।বখতে-নাসারের রাজত্বের আট বছরের সময় তিনি যিহোয়াখীনকে বন্দী করে নিয়ে গেলেন।
13 মাবুদ যেমন বলেছিলেন তেমনি করে বখতে-নাসার মাবুদের ঘর ও রাজবাড়ী থেকে সব ধন্তরত্ন নিয়ে গেলেন এবং ইসরাইলের বাদশাহ্ সোলায়মান মাবুদের ঘরের জন্য সোনা দিয়ে যে সব জিনিস তৈরী করেছিলেন তা তিনি কেটে টুকরা টুকরা করলেন।
14 এছাড়া জেরুজালেমের সবাইকে, অর্থাৎ সমস্ত কর্মচারী ও যোদ্ধাদের, সমস্ত কারিগর ও কর্মকারদের- মোট দশ হাজার লোককে তিনি বন্দী করে নিয়ে গেলেন। দেশে গরীব লোক ছাড়া আর কেউ রইল না।
15 বখতে-নাসার যিহোয়াখীনকে বন্দী হিসাবে ব্যাবিলনে নিয়ে গিয়েছিলেন। তিনি জেরুজালেম থেকে বাদশাহ্র মাকে, তাঁর স্ত্রীদের, তাঁর কর্মচারীদের এবং দেশের গণ্যমান্য লোকদেরও নিয়ে গিয়েছিলেন।
16 তিনি যুদ্ধের জন্য উপযুক্ত ও শক্তিশালী সাত হাজার যোদ্ধার গোটা সৈন্যদল এবং এক হাজার কারিগর ও কর্মকারদের বন্দী করে ব্যাবিলনে নিয়ে গিয়েছিলেন।
17 তিনি যিহোয়াখীনের জায়গায় তাঁর চাচা মত্তনিয়কে বাদশাহ্ করলেন এবং তাঁর নাম বদলে সিদিকিয় রাখলেন।
18 একুশ বছর বয়সে সিদিকিয় বাদশাহ্ হলেন। তিনি জেরুজালেমে এগারো বছর রাজত্ব করেছিলেন। তাঁর মায়ের নাম ছিল হমূটল; তিনি ছিলেন লিব্না শহরের ইয়ারমিয়ার মেয়ে।
19 যিহোয়াকীমের মত সিদিকিয় মাবুদের চোখে যা খারাপ তা-ই করতেন।
20 জেরুজালেম ও এহুদার লোকদের দরুন মাবুদ রাগে জ্বলে উঠেছিলেন এবং শেষে তিনি তাঁর সামনে থেকে তাদের দূর করে দিয়েছিলেন। পরে সিদিকিয় ব্যাবিলনের বাদশাহ্র বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করলেন।