1 আহাবের মৃত্যুর পর মোয়াব দেশ ইসরাইলের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করল।
2 অহসিয় সামেরিয়াতে তাঁর বাড়ীর উপরের তলার কামরার জানালা দিয়ে নীচে পড়ে গিয়ে আঘাত পেয়েছিলেন। তখন তিনি কয়েকজন লোককে এই বলে পাঠিয়ে দিলেন, “তোমরা গিয়ে ইক্রোণের দেবতা বাল-সবূবের কাছে জিজ্ঞাসা কর যে, এই আঘাত থেকে আমি সুস্থ হয়ে উঠব কি না।”
3 কিন্তু মাবুদের ফেরেশতা তিশ্বীয় ইলিয়াসকে বললেন, “তুমি গিয়ে সামেরিয়ার বাদশাহ্র পাঠানো লোকদের সংগে দেখা করে তাদের বল, ‘ইসরাইল দেশে কি আল্লাহ্ নেই যে, তোমরা ইক্রোণের দেবতা বাল-সবূবের কাছে জিজ্ঞাসা করতে যাচ্ছ?
4 এইজন্য মাবুদ বলছেন, যে বিছানায় তুমি শুয়ে আছ তা থেকে তুমি আর উঠবে না। তুমি নিশ্চয়ই মারা যাবে।’ ” এই বলে ইলিয়াস চলে গেলেন।
5 সেই লোকেরা বাদশাহ্র কাছে ফিরে আসলে পর তিনি তাদের জিজ্ঞাসা করলেন, “তোমরা কেন ফিরে আসলে?”
6 জবাবে তারা বলল, “একজন লোক আমাদের সংগে দেখা করে বলল, যিনি আমাদের পাঠিয়েছেন আমরা যেন সেই বাদশাহ্র কাছে ফিরে গিয়ে বলি যে, মাবুদ বলছেন, ‘ইসরাইল দেশে কি আল্লাহ্ নেই যে, তুমি ইক্রোণের দেবতা বাল-সবূবের কাছে জিজ্ঞাসা করবার জন্য লোক পাঠা"ছ? কাজেই তুমি যে বিছানায় শুয়ে আছ সেখান থেকে আর উঠবে না। তুমি নিশ্চয়ই মারা যাবে।’ ”
7 বাদশাহ্ তাদের জিজ্ঞাসা করলেন, “যে লোকটা তোমাদের সংগে দেখা করে এই কথা বলেছে সে দেখতে কেমন?”
8 জবাবে তারা বলল, “তার গা লোমে ভরা ছিল আর কোমরে ছিল চামড়ার কোমর-বাঁধনি।”বাদশাহ্ বললেন, “উনি হলেন তিশ্বীয় ইলিয়াস।”
9 এর পর বাদশাহ্ একজন সেনাপতি ও তাঁর পঞ্চাশজন সৈন্যকে ইলিয়াসের কাছে পাঠিয়ে দিলেন। ইলিয়াস তখন একটা পাহাড়ের উপরে বসে ছিলেন। সেই সেনাপতি ইলিয়াসের কাছে উঠে গিয়ে বললেন, “হে আল্লাহ্র বান্দা, বাদশাহ্ আপনাকে নেমে আসতে বলছেন।”
10 জবাবে ইলিয়াস সেই সেনাপতিকে বললেন, “আমি যদি আল্লাহ্রই বান্দা হই তবে আসমান থেকে আগুন নেমে এসে যেন তোমাকে ও তোমার পঞ্চাশজন সৈন্যকে পুড়িয়ে ফেলে।” তখন আসমান থেকে আগুন পড়ে সেই সেনাপতি ও তাঁর পঞ্চাশজন সৈন্যকে পুড়িয়ে ফেলল।
11 এই কথা শুনে বাদশাহ্ আর একজন সেনাপতি ও তাঁর পঞ্চাশজন সৈন্যকে ইলিয়াসের কাছে পাঠিয়ে দিলেন। সেই সেনাপতি ইলিয়াসকে বললেন, “হে আল্লাহ্র বান্দা, বাদশাহ্ আপনাকে এখনই নেমে আসতে বলেছেন।”
12 জবাবে ইলিয়াস বললেন, “আমি যদি আল্লাহ্রই বান্দা হই তবে আসমান থেকে আগুন নেমে এসে যেন তোমাকে ও তোমার পঞ্চাশজন সৈন্যকে পুড়িয়ে ফেলে।” তখন আসমান থেকে আল্লাহ্র আগুন পড়ে তাঁকে ও তাঁর পঞ্চাশজন সৈন্যকে পুড়িয়ে ফেলল।
13 এর পরে বাদশাহ্ আর একজন সেনাপতি ও তাঁর পঞ্চাশজন সৈন্যকে পাঠিয়ে দিলেন। এই তৃতীয় সেনাপতি উপরে উঠে গিয়ে ইলিয়াসের সামনে হাঁটু পেতে মিনতি করে বললেন, “হে আল্লাহ্র বান্দা, আপনি দয়া করে আমার ও আপনার এই পঞ্চাশজন গোলামের প্রাণ রক্ষা করুন।
14 দেখুন, আসমান থেকে আগুন পড়ে প্রথম দু’জন সেনাপতি ও তাঁদের সব সৈন্যদের পুড়িয়ে ফেলেছে। কিন্তু এবার আপনি আমার প্রাণ রক্ষা করুন।”
15 তখন মাবুদের ফেরেশতা ইলিয়াসকে বললেন, “তুমি ওর সংগে নেমে যাও, ওকে ভয় কোরো না।” কাজেই ইলিয়াস তাঁর সংগে নেমে বাদশাহ্র কাছে গেলেন।
16 তিনি বাদশাহ্কে বললেন, “মাবুদ এই কথা বলছেন, ‘জিজ্ঞাসা করবার জন্য ইসরাইল দেশে কি আল্লাহ্ নেই যে, তুমি ইক্রোণের দেবতা বাল-সবূবের কাছে লোক পাঠিয়েছিলে? তুমি এই কাজ করেছ বলে তুমি যে বিছানায় শুয়ে আছ তা থেকে আর উঠবে না। তুমি নিশ্চয়ই মারা যাবে।’ ”
17 ইলিয়াসকে দিয়ে মাবুদ যে কথা বলিয়েছিলেন সেই অনুসারে অহসিয় মারা গেলেন।অহসিয়ের কোন ছেলে ছিল না বলে তাঁর জায়গায় যোরাম বাদশাহ্ হলেন। এহুদার বাদশাহ্ যিহোশাফটের ছেলে যিহোরামের রাজত্বের দ্বিতীয় বছরে তিনি বাদশাহ্ হয়েছিলেন।
18 অহসিয়ের অন্যান্য সমস্ত কাজের কথা “ইসরাইলের বাদশাহ্দের ইতিহাস” নামে বইটিতে লেখা আছে।