23 কিন্তু বাদশাহ্ ইউসিয়ার রাজত্বের আঠারো বছরের সময় জেরুজালেমে মাবুদের উদ্দেশে এই উদ্ধার-ঈদ পালন করা হল।
24 এছাড়া যারা ভূতের মাধ্যম হয় এবং যারা খারাপ রূহের সংগে সম্বন্ধ রাখে ইউসিয়া তাদের দূর করে দিলেন। তিনি পারিবারিক দেবমূর্তি, প্রতিমা এবং এহুদা ও জেরুজালেমে যে সব জঘন্য জিনিস দেখতে পেলেন সেগুলোও সব দূর করে দিলেন। ইমাম হিল্কিয় মাবুদের ঘরে শরীয়ত লেখা যে কিতাব খুঁজে পেয়েছিলেন তার সব কথা যেন ঠিকভাবে পালন করা হয় সেইজন্য ইউসিয়া এই কাজ করেছিলেন।
25 তিনি তাঁর সমস্ত মন, প্রাণ ও শক্তি দিয়ে মূসার সমস্ত শরীয়ত অনুসারে মাবুদের পথে চলতেন। তাঁর আগে বা পরে আর কোন বাদশাহ্ই তাঁর মত ছিলেন না।
26 তবুও মানশা যে সব কাজ করে মাবুদকে রাগিয়ে তুলেছিলেন তার জন্য এহুদার বিরুদ্ধে যে ভয়ংকর রাগে মাবুদ জ্বলে উঠেছিলেন তা থেকে তিনি ফিরলেন না।
27 সেইজন্য মাবুদ বললেন, “আমার সামনে থেকে যেমন করে আমি ইসরাইলকে দূর করেছি তেমনি করে এহুদাকেও দূর করব, আর যে শহরকে আমি বেছে নিয়েছিলাম সেই জেরুজালেমকে এবং যার সম্বন্ধে আমি বলেছিলাম, ‘এটা আমার বাসস্থান হবে’ সেই বায়তুল-মোকাদ্দসকে আমি অগ্রাহ্য করব।”
28 ইউসিয়ার অন্যান্য সমস্ত কাজের কথা “এহুদার বাদশাহ্দের ইতিহাস” নামে বইটিতে লেখা আছে।
29 ইউসিয়ার রাজত্বের সময়ে মিসরের বাদশাহ্ ফেরাউন্তনেখো আশেরিয়ার বাদশাহ্কে সাহায্য করবার জন্য ফোরাত নদীর দিকে গেলেন। তখন বাদশাহ্ ইউসিয়া তাঁর সংগে যুদ্ধ করবার জন্য বের হলেন, কিন্তু ফেরাউন্তনেখো তাঁর সংগে যুদ্ধ করে তাঁকে মগিদ্দোতে হত্যা করলেন।