5 জবাবে সিরিয়ার বাদশাহ্ বললেন, “ঠিক আছে, তুমি যাও। ইসরাইলের বাদশাহ্র কাছে আমি একটা চিঠি দেব।” কাজেই নামান তিনশো নব্বই কেজি রূপা, আটাত্তর কেজি সোনা আর দশ সেট কাপড় নিয়ে বেরিয়ে পড়লেন।
6 যে চিঠিটা তিনি ইসরাইলের বাদশাহ্র কাছে নিয়ে গেলেন তাতে লেখা ছিল, “আমি আমার সেনাপতি নামানকে এই চিঠি দিয়ে আপনার কাছে পাঠালাম যাতে আপনি তাঁকে তাঁর চর্মরোগ থেকে সুস্থ করেন।”
7 ইসরাইলের বাদশাহ্ সেই চিঠি পড়েই তাঁর কাপড় ছিঁড়ে বললেন, “আমি কি আল্লাহ্? আমি কি হত্যা করে আবার জীবন দিতে পারি? চর্মরোগ থেকে সুস্থ হওয়ার জন্য কেন এই লোকটি আমার কাছে একজনকে পাঠিয়েছে? দেখ, কিভাবে সে আমার সংগে ঝগড়া বাধাবার চেষ্টা করছে।”
8 আল্লাহ্র বান্দা আল-ইয়াসা যখন শুনলেন যে, ইসরাইলের বাদশাহ্ কাপড় ছিঁড়েছেন তখন তিনি তাঁকে এই সংবাদ পাঠালেন, “কেন আপনি আপনার কাপড় ছিঁড়েছেন? লোকটিকে আমার কাছে পাঠিয়ে দিন। তাতে সে জানতে পারবে যে, ইসরাইল দেশে একজন নবী আছে।”
9 কাজেই নামান তাঁর সব রথ ও ঘোড়া নিয়ে আল-ইয়াসার বাড়ীর দরজার কাছে গিয়ে থামলেন।
10 আল-ইয়াসা একজন লোক দিয়ে তাঁকে বলে পাঠালেন, “আপনি গিয়ে সাতবার জর্ডান নদীতে গোসল করুন। তাতে আপনি সুস্থ ও পাক-সাফ হবেন।”
11 কিন্তু নামান ভীষণ রাগ করে সেখান থেকে চলে গেলেন এবং বললেন, “আমি ভেবেছিলাম তিনি নিশ্চয়ই বের হয়ে আমার কাছে আসবেন এবং দাঁড়িয়ে তাঁর মাবুদ আল্লাহ্কে ডাকবেন আর চর্মরোগের জায়গার উপরে তাঁর হাত দুলিয়ে আমার চর্মরোগ ভাল করে দেবেন।