17 তারপর আল-ইয়াসা এই মুনাজাত করলেন, “হে মাবুদ, তার চোখ খুলে দাও যেন সে দেখতে পায়।” তখন মাবুদ সেই চাকরের চোখ খুলে দিলেন। সে চেয়ে দেখতে পেল আল-ইয়াসার চারপাশে পাহাড়গুলো আগুনের রথ ও ঘোড়ায় ভরা।
18 শত্রুরা যখন আল-ইয়াসার দিকে নেমে আসছিল তখন তিনি মাবুদের কাছে এই মুনাজাত করলেন, “এই লোকগুলোকে তুমি আলোর ঝলকে অন্ধ করে দাও।” আল-ইয়াসার মুনাজাত অনুসারে মাবুদ তাদের অন্ধ করে দিলেন।
19 আল-ইয়াসা তাদের বললেন, “এটা সেই রাস্তাও নয় এবং সেই শহরও নয়। তোমরা আমার পিছনে পিছনে এস; যে লোকের তালাশ তোমরা করছ আমি তার কাছে তোমাদের নিয়ে যাব।” এই বলে তিনি সামেরিয়াতে তাদের নিয়ে গেলেন।
20 শহরে ঢুকবার পর আল-ইয়াসা বললেন, “হে মাবুদ, এবার ওদের চোখ খুলে দাও যেন ওরা দেখতে পায়।” তখন মাবুদ তাদের চোখ খুলে দিলেন আর তারা দেখতে পেল যে, তারা সামেরিয়ার মধ্যে গিয়ে উপস্থিত হয়েছে।
21 ইসরাইলের বাদশাহ্ তাদের দেখে আল-ইয়াসাকে বললেন, “পিতা, আমি কি ওদের হত্যা করব?”
22 জবাবে তিনি বললেন, “না, ওদের মারবেন না। আপনার নিজের তলোয়ার ও ধনুক দিয়ে আপনি যাদের বন্দী করেছেন তাদের কি হত্যা করবেন? ওদের আপনি খাবার ও পানি দিন, যাতে তারা খেয়েদেয়ে তাদের মালিকের কাছে ফিরে যেতে পারে।”
23 কাজেই বাদশাহ্ তাদের জন্য একটা বড় মেজবানীর আয়োজন করলেন। তারা খাওয়া-দাওয়া শেষ করলে পর তিনি তাদের বিদায় করে দিলেন আর তারা তাদের মালিকের কাছে ফিরে গেল। এতে সিরিয়ার সৈন্যদল ইসরাইলের রাজ্যের মধ্যে লুটপাট করা বন্ধ করে দিল।