20 শহরে ঢুকবার পর আল-ইয়াসা বললেন, “হে মাবুদ, এবার ওদের চোখ খুলে দাও যেন ওরা দেখতে পায়।” তখন মাবুদ তাদের চোখ খুলে দিলেন আর তারা দেখতে পেল যে, তারা সামেরিয়ার মধ্যে গিয়ে উপস্থিত হয়েছে।
21 ইসরাইলের বাদশাহ্ তাদের দেখে আল-ইয়াসাকে বললেন, “পিতা, আমি কি ওদের হত্যা করব?”
22 জবাবে তিনি বললেন, “না, ওদের মারবেন না। আপনার নিজের তলোয়ার ও ধনুক দিয়ে আপনি যাদের বন্দী করেছেন তাদের কি হত্যা করবেন? ওদের আপনি খাবার ও পানি দিন, যাতে তারা খেয়েদেয়ে তাদের মালিকের কাছে ফিরে যেতে পারে।”
23 কাজেই বাদশাহ্ তাদের জন্য একটা বড় মেজবানীর আয়োজন করলেন। তারা খাওয়া-দাওয়া শেষ করলে পর তিনি তাদের বিদায় করে দিলেন আর তারা তাদের মালিকের কাছে ফিরে গেল। এতে সিরিয়ার সৈন্যদল ইসরাইলের রাজ্যের মধ্যে লুটপাট করা বন্ধ করে দিল।
24 এর কিছুকাল পরে সিরিয়ার বাদশাহ্ বিন্হদদ তাঁর সমস্ত সৈন্যদল জমায়েত করলেন এবং তাদের নিয়ে গিয়ে সামেরিয়া ঘেরাও করলেন।
25 তখন শহরে ভীষণ দুর্ভিক্ষ দেখা দিল। এই ঘেরাও এতদিন ধরে চলল যে, একটা গাধার মাথা পর্যন্ত প্রায় এক কেজি রূপাতে এবং এক কেজির চার ভাগের এক ভাগ কবুতরের পায়খানা সাত গ্রাম রূপায় বিক্রি হতে লাগল।
26 ইসরাইলের বাদশাহ্ একদিন যখন শহরের দেয়ালের উপর দিয়ে যাচ্ছিলেন তখন একজন স্ত্রীলোক চিৎকার করে তাঁকে বলল, “হে আমার প্রভু মহারাজ, আমাকে সাহায্য করুন।”