3 তখন শহর-দরজায় ঢুকবার পথে চারজন চর্মরোগী ছিল। তারা একে অন্যকে বলল, “আমরা এখানে থেকে কেন মরব?
4 যদি বলি আমরা শহরে যাব তবে সেখানেও দুর্ভিক্ষ আর আমরা মারা যাব। যদি এখানে থাকি তবুও মরব। তার চেয়ে বরং চল, আমরা সিরীয়দের ছাউনিতে গিয়ে তাদের হাতে নিজেদের তুলে দিই। যদি তারা আমাদের বাঁচায় তবে তো আমরা বাঁচলাম, নইলে মরব আর কি।”
5 এই বলে সন্ধ্যার আগে তারা সিরীয়দের ছাউনিতে গেল। ছাউনির ধারে গিয়ে দেখল সেখানে একজন লোকও নেই।
6 মাবুদ রথ, ঘোড়া, ও মস্ত বড় একদল সৈন্যের আওয়াজ সিরীয়দের শুনিয়েছিলেন। এতে সিরীয় সৈন্যেরা একে অন্যকে বলেছিল, “দেখ, আমাদের হামলা করবার জন্য ইসরাইলের বাদশাহ্ হিট্টীয় ও মিসরীয় বাদশাহ্দের টাকা দিয়েছে।”
7 এই বলে তারা সন্ধ্যার আগেই তাদের তাম্বু, ঘোড়া, গাধা সব ফেলে রেখে পালিয়ে গিয়েছিল। ছাউনি যেমন ছিল তেমনি রেখে তারা প্রাণের ভয়ে পালিয়ে গিয়েছিল।
8 সেই চর্মরোগীরা ছাউনির ধারে পৌঁছে একটা তাম্বুর ভিতরে গেল। তারা খাওয়া-দাওয়া করে সোনা, রূপা আর কাপড়-চোপড় নিয়ে চলে গেল এবং সেগুলো লুকিয়ে রাখল। তারপর তারা ফিরে এসে আর একটা তাম্বুতে ঢুকে কতগুলো জিনিস নিয়ে গিয়ে লুকিয়ে রাখল।
9 পরে তারা একে অন্যকে বলল, “আমাদের কাজটা কিন্তু ভাল হচ্ছে না। আজ একটা সুখবরের দিন আর আমরা কাউকে কিছু না বলে চুপ করে আছি। আমরা যদি সকাল পর্যন্ত দেরি করি তবে শাস্তি আমাদের উপর নেমে আসবে। চল, আমরা এখনই গিয়ে রাজবাড়ীতে খবরটা জানাই।”