1 মাবুদ আইয়ুবকে আরও বললেন,
2 “সর্বশক্তিমানের সংগে যে ঝগড়া করছেসে কি তাঁকে সংশোধন করবে?আল্লাহ্র সংগে যে তর্ক করে সে তাঁকে জবাব দিক।”
3 তখন আইয়ুব জবাবে মাবুদকে বললেন,
4 “আমি তো অযোগ্য, আমি কেমন করে তোমাকে জবাব দেব?আমার মুখে আমি হাত চাপা দিয়েছি।
5 আমি একবার কথা বলেছি, কিন্তু জবাব দেবার আমার কিছু নেই;দু’বার বলেছি, কিন্তু আর বলব না।”
6 তখন মাবুদ ঝড়ের মধ্য থেকে আইয়ুবকে বললেন,
7 “তুমি বীরের মত কোমর বাঁধ;আমি তোমাকে প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করবআর তুমি আমাকে জবাব দেবে।
8 তুমি আমার ন্যায়বিচারকে কি অগ্রাহ্য করবে?তুমি যে নির্দোষ তা প্রমাণের জন্য কি তুমি আমাকে দোষী করবে?
9 তোমার কি আল্লাহ্র মত শক্তি আছে?তোমার গলার আওয়াজ কি তাঁর গর্জনের মত?
10 তাহলে নিজেকে সাজাও দেখি গৌরব ও মহিমায়,আর পরাও নিজেকে সম্মান ও মর্যাদার পোশাক।
11 তোমার ভয়ংকর গজব ঢেলে দাও;প্রত্যেক অহংকারী লোককে তোমার চাহনি দিয়ে নীচু কর।
12 সব অহংকারী লোকদের তোমার চাহনি দিয়ে নীচুতে নামাও;দুষ্টেরা যেখানে আছে সেখানেই তাদের গুঁড়া কর।
13 তাদের সবাইকে একসংগে ধুলায় ঢেকে ফেল;কবরে তাদের বেঁধে রাখ।
14 তাহলে আমি নিজেই স্বীকার করে নেব যে,তোমার নিজের শক্তি তোমাকে রক্ষা করতে পারে।
15 “বহেমোৎকে দেখ, তোমার সংগে আমি তাকেও তৈরী করেছি;সে গরুর মতই ঘাস খায়।
16 তার কোমরে কি শক্তি!তার পেটের মাংসপেশীতে কত ক্ষমতা!
17 তার লেজ এরস গাছের মত নড়ে;তার রানের মাংসপেশী শক্ত করে জোড়া লাগানো।
18 তার হাড়গুলো যেন ব্রোঞ্জের নল,সেগুলো লোহার ডাণ্ডার মত।
19 আল্লাহ্র সৃষ্টির মধ্যে তার স্থান প্রধান;কেবল তার সৃষ্টিকর্তাই তাকে মেরে ফেলতে পারেন।
20 পাহাড়ে যা জন্মায় তা-ই সে খায়,সেখানকার সব বুনো পশুরা তার কাছেই খেলা করে।
21 বাব্লা গাছের নীচে সে শুয়ে থাকে;জলাভূমির নলবনের মধ্যে সে লুকিয়ে থাকে।
22 বাব্লা গাছ তার ছায়ায় তাকে ঢেকে রাখে;তাকে ঘিরে রাখে নদীর ধারের উইলো গাছ।
23 নদীতে বেগে বান আসলেও সে ভয় পায় না;জর্ডানের পানি বেগে এসে তার মুখে পড়লেও সে স্থির থাকে।
24 তার চোখ আক্রমণ করে কেউ কি তাকে ধরতে পারে?কেউ কি ফাঁদে ফেলে তার নাক ছেঁদা করতে পারে?