কাজীগণ 16:24-30 MBCL

24 লোকেরা শামাউনকে দেখে এই কথা বলে তাদের দেবতার প্রশংসা করতে লাগল, “আমাদের দেবতা আমাদের হাতে আমাদের শত্রুকে তুলে দিয়েছেন; সে আমাদের জমি নষ্ট করেছে আর আমাদের অনেক লোককে মেরে ফেলেছে।”

25 তারপর তারা আনন্দে মেতে উঠে এই বলে চিৎকার করল, “শামাউনকে বের করে আনা হোক; আমরা তামাশা দেখব।” কাজেই তারা জেলখানা থেকে শামাউনকে বের করে আনল আর শামাউন তাদের তামাশা দেখাতে লাগলেন।তারা শামাউনকে থামগুলোর মাঝখানে দাঁড় করাল।

26 যে ছেলেটি তাঁর হাত ধরে ছিল শামাউন তাকে বললেন, “যে থামগুলোর উপর মন্দিরটা দাঁড়িয়ে আছে সেগুলো আমাকে ছুঁতে দাও যাতে আমি সেখানে হেলান দিতে পারি।”

27 সেই মন্দিরে অনেক পুরুষ ও স্ত্রীলোক জমা হয়েছিল, আর ফিলিস্তিনীদের সমস্ত শাসনকর্তারাও সেখানে ছিলেন। ছাদের উপর থেকে প্রায় তিন হাজার পুরুষ ও স্ত্রীলোক শামাউনের তামাশা দেখছিল।

28 তখন শামাউন মাবুদের কাছে মুনাজাত করে বললেন, “হে আল্লাহ্‌ মালিক, আমার কথা একবার মনে কর। হে আল্লাহ্‌, দয়া করে আর একটিবার মাত্র আমাকে শক্তি দাও যাতে আমার দু’টা চোখের জন্য একবারেই আমি ফিলিস্তিনীদের উপর প্রতিশোধ নিতে পারি।”

29 মাঝখানে যে দু’টা থামের উপর মন্দিরটা দাঁড়িয়ে ছিল শামাউন সেই দু’টা আঁকড়ে ধরলেন। তিনি ডান হাতটা একটা থামের উপর এবং বাঁ হাতটা অন্য থামের উপরে রেখে নিজের ভার থামগুলোর উপর দিলেন।

30 তারপর তিনি চিৎকার করে বললেন, “ফিলিস্তিনীদের সংগে আমারও মৃত্যু হোক!” এই বলে তিনি নীচু হয়ে সমস্ত শক্তি দিয়ে থাম দু’টা টান দিলেন। তাতে সব শাসনকর্তা ও ভিতরকার লোকদের উপর মন্দিরটা ভেংগে পড়ল। এইভাবে তিনি জীবিত থাকতে যত না লোক হত্যা করেছিলেন তার চেয়েও বেশী মারলেন তাঁর মৃত্যুর সময়ে।