45 আর ইমাম সাদোক ও নবী নাথন জিহোনে তাঁকে রাজপদে অভিষেক করেছেন। সেখান থেকে লোকেরা আনন্দ করতে করতে ফিরে গিয়েছে আর শহরে সেই গোলমালই হচ্ছে। সেই আওয়াজই আপনারা শুনতে পাচ্ছেন।
46-48 এছাড়া সোলায়মান রাজ-সিংহাসনেও বসেছেন, আর বাদশাহ্র কর্মচারীরা আমাদের প্রভু বাদশাহ্ দাউদকে তাদের শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেছে, ‘আপনার আল্লাহ্ আপনার নামের চেয়েও সোলায়মানের নাম মহান করুন এবং আপনার রাজ্যের চেয়েও তাঁর রাজ্য আরও গৌরবযুক্ত করুন।’ বাদশাহ্ বিছানার উপরেই উবুড় হয়ে আল্লাহ্কে সেজদা করে বলেছেন, ‘ইসরাইলের মাবুদ আল্লাহ্র প্রশংসা হোক। আমার সিংহাসনের অধিকারীকে আজ তিনি আমাকে দেখতে দিলেন।’ ”
49 এই কথা শুনে আদোনিয়ের দাওয়াতী সব লোকেরা খুব ভয় পেল এবং উঠে যে যার পথে চলে গেল।
50 কিন্তু আদোনিয় সোলায়মানের ভয়ে গিয়ে কোরবানগাহের শিং ধরে রইল।
51 তখন সোলায়মানকে কেউ একজন বলল যে, আদোনিয় তাঁর ভয়ে কোরবানগাহের শিং আঁকড়ে ধরেছে। সে বলেছে, “বাদশাহ্ সোলায়মান আজ আমার কাছে কসম খান যে, তিনি তাঁর গোলামকে হত্যা করবেন না।”
52 জবাবে সোলায়মান বললেন, “সে যদি নিজেকে ভাল লোক হিসাবে দেখাতে পারে তবে তার মাথার একটা চুলও মাটিতে পড়বে না; কিন্তু যদি তার মধ্যে খারাপ কিছু পাওয়া যায় তবে সে মরবে।”
53 এই বলে বাদশাহ্ সোলায়মান লোক পাঠিয়ে দিলেন আর তারা গিয়ে আদোনিয়কে কোরবানগাহ্ থেকে নিয়ে আসল। আদোনিয় এসে বাদশাহ্ সোলায়মানের সামনে মাটিতে উবুড় হয়ে পড়ল। সোলায়মান বললেন, “তুমি নিজের ঘরে চলে যাও।”