21 এদিকে এহুদা দেশে সোলায়মানের ছেলে রহবিয়াম রাজত্ব করছিলেন। তিনি যখন বাদশাহ্ হয়েছিলেন তখন তাঁর বয়স ছিল একচল্লিশ। ইসরাইলের গোষ্ঠীগুলোর সমস্ত জায়গার মধ্য থেকে যে শহরটা মাবুদ নিজের বাসস্থান হিসাবে বেছে নিয়েছিলেন সেই জেরুজালেম শহরে রহবিয়াম সতেরো বছর রাজত্ব করেছিলেন। তাঁর মায়ের নাম ছিল নয়মা; তিনি জাতিতে ছিলেন একজন অম্মোনীয়।
22 মাবুদের চোখে যা খারাপ এহুদার লোকেরা তা-ই করতে লাগল। তাদের পূর্বপুরুষদের চেয়ে তাদের গুনাহের মধ্য দিয়ে তারা মাবুদের দিলের জ্বালা আরও বেশী করে জাগিয়ে তুলেছিল।
23 এছাড়া তারা নিজেদের জন্য প্রত্যেকটা উঁচু পাহাড়ের উপরে ও প্রত্যেকটা ডালপালা ছড়ানো সবুজ গাছের নীচে পূজার উঁচু স্থান ঠিক করেছিল এবং পবিত্র পাথর ও আশেরা-খুঁটি স্থাপন করেছিল।
24 এমন কি, তাদের দেশে পুরুষ মন্দির-বেশ্যাও ছিল। যে জাতিগুলোকে মাবুদ বনি-ইসরাইলদের সামনে থেকে দূর করে দিয়েছিলেন তাদের সমস্ত ঘৃণার কাজ এহুদার লোকেরা করতে লাগল।
25 বাদশাহ্ রহবিয়ামের রাজত্বের পঞ্চম বছরে মিসরের বাদশাহ্ শীশক জেরুজালেম আক্রমণ করলেন।
26 তিনি মাবুদের ঘরের ও রাজবাড়ীর ধন-দৌলত নিয়ে গেলেন। তিনি সব কিছুই নিয়ে গেলেন, এমন কি, সোলায়মানের তৈরী সোনার সব ঢালগুলোও নিয়ে গেলেন।
27 কাজেই বাদশাহ্ রহবিয়াম সেগুলোর বদলে ব্রোঞ্জের ঢাল তৈরী করালেন। রাজবাড়ীর দরজায় যে সব সৈন্যেরা পাহারা দিত তাদের সেনাপতিদের কাছে তিনি সেগুলো রক্ষা করবার ভার দিলেন।