17 ইসরাইলের বাদশাহ্ বাশা এহুদার লোকদের বিরুদ্ধে গিয়ে রামা শহরটা কেল্লার মত করে গড়ে তুলতে লাগলেন যাতে কেউ এহুদার বাদশাহ্ আসার কাছে যাওয়া-আসা করতে না পারে।
18 মাবুদের ঘরে এবং নিজের রাজবাড়ীর ভাণ্ডারে যে সব সোনা ও রূপা ছিল আসা সেগুলো সব বের করে নিলেন। সেগুলো তাঁর কর্মচারীদের হাতে দিয়ে সিরিয়ার বাদশাহ্ বিন্হদদের কাছে পাঠিয়ে দিলেন। বিন্হদদ ছিলেন টব্রিম্মোণের ছেলে হিষিয়োণের নাতি। তিনি তখন দামেস্কে রাজত্ব করছিলেন। আসা তাঁকে বলে পাঠালেন,
19 “আমার ও আপনার বাবার মত আসুন, আমরাও আমাদের মধ্যে একটা চুক্তি করি। আমি আপনাকে এই সব সোনা ও রূপা উপহার পাঠালাম। ইসরাইলের বাদশাহ্ বাশার সংগে আপনি এখন চুক্তি ভেংগে ফেলুন, তাতে সে আমার কাছ থেকে চলে যাবে।”
20 বাদশাহ্ আসার কথায় বিন্হদদ রাজী হয়ে তাঁর সেনাপতিদের ইসরাইলের গ্রামগুলোর বিরুদ্ধে পাঠিয়ে দিলেন। তিনি ইয়োন, দান, আবেল-বৈৎ-মাখা ও সমস্ত গালীল এবং তার সংগে নপ্তালি-এলাকাটা দখল করে নিলেন।
21 বাশা এই কথা শুনে রামা শহর শক্তিশালী করে গড়ে তুলবার কাজ বন্ধ করে তির্সাতে ফিরে গেলেন।
22 তারপর বাদশাহ্ আসা এহুদার সকলের উপর একটা হুকুম জারি করলেন, কাউকে বাদ দিলেন না। তাতে লোকেরা রামায় বাশার ব্যবহার করা পাথর ও কাঠ সব নিয়ে গেল। বাদশাহ্ আসা সেই সব দিয়ে বিন্ইয়ামীনের গেবা ও মিসপা গ্রাম কেল্লার মত করে গড়ে তুললেন।
23 আসার অন্যান্য সব কাজ, যুদ্ধে তাঁর জয়ের কথা, তিনি যা কিছু করেছিলেন এবং যে সব গ্রাম তিনি নতুনভাবে গড়ে তুলেছিলেন তা “এহুদার বাদশাহ্দের ইতিহাস” নামে বইটিতে লেখা আছে। বুড়ো বয়সে আসার পায়ে একটা রোগ হল।