19 বৎশেবা যখন আদোনিয়ের কথা বলবার জন্য বাদশাহ্ সোলায়মানের কাছে গেলেন তখন বাদশাহ্ উঠে তাঁর সামনে উবুড় হয়ে সালাম জানালেন এবং তারপর তাঁর সিংহাসনে বসলেন। বাদশাহ্ তাঁর মায়ের জন্য একটা আসন আনিয়ে তাঁর ডান পাশে রাখলেন এবং তাঁর মা সেখানে বসলেন।
20 বৎশেবা বললেন, “আমি তোমাকে একটা ছোট্ট অনুরোধ করব; তুমি আমাকে ফিরিয়ে দিয়ো না।”জবাবে বাদশাহ্ বললেন, “বল মা, আমি তোমাকে ফিরিয়ে দেব না।”
21 বৎশেবা তখন বললেন, “তোমার ভাই আদোনিয়ের সংগে শূনেমীয়া অবীশগের বিয়ে দেওয়া হোক।”
22 জবাবে বাদশাহ্ সোলায়মান তাঁর মাকে বললেন, “আদোনিয়ের জন্য কেন তুমি শূনেমীয়া অবীশগকে চাইছ? তুমি তার জন্য রাজ্যটাও তো চাইতে পারতে, কারণ সে আমার বড় ভাই; জ্বী, তার জন্য, ইমাম অবিয়াথরের জন্য আর সরূয়ার ছেলে যোয়াবের জন্যও তা চাইতে পারতে।”
23 এর পর বাদশাহ্ সোলায়মান মাবুদের নামে কসম খেয়ে বললেন, “এই অনুরোধের জন্য যদি আদোনিয়ের প্রাণ নেওয়া না হয় তবে মাবুদ যেন আমাকে শাস্তি দেন, আর তা ভীষণভাবেই দেন।
24 যিনি আমার পিতা দাউদের সিংহাসনে আমাকে শক্তভাবে স্থাপিত করেছেন এবং তাঁর ওয়াদা অনুসারে আমার জন্য একটা রাজবংশের প্রতিষ্ঠা করেছেন সেই আল্লাহ্র কসম খেয়ে বলছি, আজই আদোনিয়কে হত্যা করা হবে।”
25 তারপর বাদশাহ্ সোলায়মান যিহোয়াদার ছেলে বনায়কে হুকুম দিলেন, আর বনায় আদোনিয়কে হত্যা করলেন।