36 তারপর বাদশাহ্ লোক পাঠিয়ে শিমিয়িকে ডেকে এনে বললেন, “তুমি জেরুজালেমে একটা বাড়ী তৈরী করে সেখানেই থাকবে, অন্য কোথাও তোমার যাওয়া চলবে না।
37 যেদিন তুমি সেখান থেকে বের হয়ে কিদ্রোণ উপত্যকা পার হবে সেই দিন তুমি নিশ্চয় করে জেনে রেখো যে, তোমাকে মরতেই হবে; তোমার রক্তপাতের দোষ তোমার নিজের মাথার উপরেই পড়বে।”
38 জবাবে শিমিয়ি বাদশাহ্কে বললেন, “আপনি ভালই বলেছেন। আমার প্রভু মহারাজ যা বললেন আপনার গোলাম তা-ই করবে।” এর পর শিমিয়ি অনেক দিন জেরুজালেমে রইল।
39 কিন্তু তিন বছর পরে শিমিয়ির দু’জন গোলাম মাখার ছেলে গাতের বাদশাহ্ আখীশের কাছে পালিয়ে গেল। শিমিয়িকে বলা হল যে, তার গোলামেরা গাৎ শহরে আছে।
40 তখন শিমিয়ি তার গাধার উপর গদি চাপিয়ে তার গোলামদের তালাশে গাতে আখীশের কাছে গেল এবং সেখান থেকে তাদের ফিরিয়ে আনল।
41 পরে সোলায়মানকে জানানো হল যে, শিমিয়ি জেরুজালেম থেকে গাতে গিয়ে আবার ফিরে এসেছে।
42 বাদশাহ্ তখন শিমিয়িকে ডাকিয়ে এনে বললেন, “আমি কি মাবুদের নামে তোমাকে কসম খাইয়ে সাবধান করে দিই নি যে, যেদিন তুমি বেরিয়ে আর কোথাও যাবে সেই দিন তোমাকে নিশ্চয়ই মরতে হবে? সেই সময় তুমি আমাকে বলেছিলে যে, আমি ভালই বলেছি আর তুমি সেই মতই চলবে।