33 সেই লোকেরা এটাকে ভাল লক্ষণ মনে করে তাড়াতাড়ি করে তাঁর কথা ধরে বলল, “জ্বী, বিন্হদদ নিশ্চয়ই আপনার ভাই।”বাদশাহ্ বললেন, “আপনারা গিয়ে তাঁকে নিয়ে আসুন।” বিন্হদদ বের হয়ে আসলে পর আহাব তাঁকে তাঁর রথে তুলে নিলেন।
34 বিন্হদদ বললেন, “আপনার বাবার কাছ থেকে আমার বাবা যে সব গ্রাম নিয়ে নিয়েছেন আমি সেগুলো আপনাকে ফিরিয়ে দেব। আমার পিতা যেমন সামেরিয়াতে বাজার বসিয়েছিলেন তেমনি আপনিও দামেস্কের বিভিন্ন জায়গায় বাজার বসাতে পারবেন।”আহাব বললেন, “একটা সন্ধি করে আপনাকে আমি ছেড়ে দেব।” এই বলে তিনি বিন্হদদের সংগে একটা সন্ধি করে তাঁকে ছেড়ে দিলেন।
35 মাবুদের হুকুমে শাগরেদ-নবীদের মধ্যে একজন তাঁর সংগীকে বললেন, “দয়া করে আমাকে আঘাত কর।” লোকটি তাতে রাজী হল না।
36 তখন সেই নবী বললেন, “তুমি মাবুদের কথার বাধ্য হলে না বলে আমাকে ছেড়ে যাওয়ার সংগে সংগেই একটা সিংহ তোমাকে হত্যা করবে।” লোকটি চলে যাওয়ার পরেই একটা সিংহ তাকে দেখতে পেয়ে হত্যা করল।
37 সেই নবী আর একজন লোককে দেখতে পেয়ে তাকে বললেন, “দয়া করে আমাকে আঘাত কর।” লোকটি তাঁকে আঘাত করে ক্ষত করল।
38 তারপর সেই নবী রাস্তার পাশে গিয়ে দাঁড়িয়ে বাদশাহ্র জন্য অপেক্ষা করতে লাগলেন। তিনি তাঁর মাথায় কাপড় বেঁধে তা চোখের উপরে নামিয়ে এনে নিজের পরিচয় গোপন করলেন।
39 বাদশাহ্ ঐ পথে যাওয়ার সময় সেই নবী তাঁকে ডেকে বললেন, “আপনার গোলাম আমি যুদ্ধের মাঝখানে গিয়েছিলাম। তখন একজন লোক একজন বন্দীকে আমার কাছে এনে বলল, ‘এই লোকটাকে পাহারা দিয়ে রাখ। যদি সে হারিয়ে যায় তবে তার প্রাণের বদলে তোমার প্রাণ নেওয়া হবে, আর তা না হলে ঊনচল্লিশ কেজি রূপা জরিমানা দিতে হবে।’