21 শেষ রাতে আমার ছেলেকে দুধ খাওয়াতে উঠে দেখলাম ছেলেটি মরা। সকালের আলোতে আমি যখন তাকে ভাল করে দেখলাম তখন বুঝলাম সে আমার নিজের ছেলে নয়।”
22 তখন অন্য স্ত্রীলোকটি বলল, “না, না, জীবিত ছেলেটি আমার আর মরাটা তোমার।”কিন্তু প্রথমজন জোর দিয়ে বলল, “না, মরাটা তোমার আর জীবিতটা আমার।” এইভাবে বাদশাহ্র সামনেই তারা কথা কাটাকাটি করতে লাগল।
23 বাদশাহ্ বললেন, “এ বলছে, ‘আমার ছেলে বেঁচে আছে আর তোমারটা মারা গেছে।’ আবার ও বলছে, ‘না, না, তোমার ছেলে মারা গেছে আমারটা বেঁচে আছে।’ ”
24 তখন বাদশাহ্ বললেন, “আমাকে একটা তলোয়ার দাও।” তখন বাদশাহ্র কাছে একটা তলোয়ার আনা হল।
25 তিনি হুকুম দিলেন, “জীবিত ছেলেটিকে কেটে দু’ভাগ কর এবং একে অর্ধেক আর ওকে অর্ধেক দাও।”
26 যার ছেলেটি বেঁচে ছিল ছেলের জন্য সেই স্ত্রীলোকের মন ব্যাকুল হওয়াতে সে বাদশাহ্কে বলল, “হে হুজুর, মিনতি করি, ওকেই আপনি জীবিত ছেলেটি দিয়ে দিন; ছেলেটিকে হত্যা করবেন না।”কিন্তু অন্য স্ত্রীলোকটি বলল, “ও তোমারও না হোক আর আমারও না হোক। ওকে কেটে দু’টুকরা কর।”
27 বাদশাহ্ তখন তাঁর রায় দিয়ে বললেন, “জীবিত ছেলেটি ঐ প্রথম স্ত্রীলোকটিকে দাও। ওকে কেটো না; ও-ই ওর মা।”