13 বাদশাহ্ বৃদ্ধ নেতাদের উপদেশ অগ্রাহ্য করে তাদের খুব কড়া জবাব দিলেন।
14 তিনি সেই যুবকদের পরামর্শ মত বললেন, “আমার বাবা তোমাদের জোয়াল ভারী করেছিলেন, আমি তা আরও ভারী করব। আমার বাবা চাবুক দিয়ে তোমাদের মেরেছিলেন, আমি তোমাদের মারব কাঁকড়া-বিছা দিয়ে।”
15 এইভাবে বাদশাহ্ লোকদের কথায় কান দিলেন না। শীলোনীয় অহিয়ের মধ্য দিয়ে মাবুদ নবাটের ছেলে ইয়ারাবিমকে যে কথা বলেছিলেন তা পূর্ণ করবার জন্য আল্লাহ্ থেকেই ঘটনাটা এইভাবে ঘটল।
16 বনি-ইসরাইলরা যখন বুঝল যে, বাদশাহ্ তাদের কথা শুনবেন না তখন তারা বাদশাহ্কে বলল, “দাউদের উপর আমাদের কোন দাবি নেই। ইয়াসির ছেলের উপর আমাদের কোন অধিকার নেই। হে ইসরাইল, তোমরা যে যার বাড়ীতে ফিরে যাও। হে দাউদ, এখন তোমার নিজের গোষ্ঠী তুমি নিজেই দেখ।” কাজেই বনি-ইসরাইলরা যে যার বাড়ীতে ফিরে গেল।
17 তবে এহুদা-গোষ্ঠীর গ্রাম ও শহরগুলোতে যে সব ইসরাইলীয় বাস করত রহবিয়াম তাদের উপরে রাজত্ব করতে থাকলেন।
18 যাদের কাজ করতে বাধ্য করা হত তাদের ভার যার উপরে ছিল সেই অদোরামকে বাদশাহ্ রহবিয়াম বনি-ইসরাইলদের কাছে পাঠিয়ে দিলেন, কিন্তু তারা তাকে পাথর ছুঁড়ে হত্যা করল। তখন বাদশাহ্ রহবিয়াম তাড়াতাড়ি তাঁর রথে উঠে জেরুজালেমে পালিয়ে গেলেন।
19 এইভাবে বনি-ইসরাইলরা দাউদের বংশের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করল; অবস্থাটা আজও তা-ই আছে।