10 যিহোয়াদা তখন বাদশাহ্ দাউদের যে সব বর্শা ও ঢাল মাবুদের ঘরে ছিল সেগুলো নিয়ে সেনাপতিদের হাতে দিলেন।
11 বাদশাহ্কে রক্ষা করবার জন্য পাহারাদারেরা প্রত্যেকে অস্ত্র হাতে বায়তুল-মোকাদ্দসের সামনে কোরবানগাহের কাছে দক্ষিণ দিক থেকে উত্তর দিক পর্যন্ত দাঁড়াল।
12 তখন যিহোয়াদা বাদশাহ্র ছেলেকে বের করে এনে তাঁর মাথায় তাজ পরিয়ে দিয়ে তাঁর হাতে ব্যবস্থার কিতাবখানা দিলেন। তাঁরা তাঁকে বাদশাহ্ হিসাবে অভিষেক করলেন এবং লোকেরা হাততালি দিয়ে চিৎকার করে বলল, “বাদশাহ্ চিরজীবী হোন।”
13 পাহারাদার ও লোকদের এই চিৎকার শুনে অথলিয়া মাবুদের ঘরে লোকদের কাছে গেলেন।
14 তিনি চেয়ে দেখলেন নিয়ম অনুসারে বাদশাহ্ থামের পাশে দাঁড়িয়ে আছেন। সেনাপতিরা ও শিংগা বাদকেরা বাদশাহ্র পাশে রয়েছে এবং দেশের সব লোক আনন্দ করছে ও শিংগা বাজাচ্ছে। এ দেখে অথলিয়া তাঁর পোশাক ছিঁড়ে চিৎকার করে বললেন, “এ তো বেঈমানী! বেঈমানী!”
15 তখন ইমাম যিহোয়াদা যাদের উপর সৈন্যদলের ভার ছিল সেই শত-সেনাপতিদের এই হুকুম দিলেন, “ওঁকে সৈন্যদের সারির মাঝখানে রেখে এখান থেকে বের করে নিয়ে যান। যে ওঁর পিছনে পিছনে আসবে তাকে হত্যা করবেন।” এর আগে তিনি হুকুম দিয়েছিলেন যে, মাবুদের ঘরের মধ্যে অথলিয়াকে হত্যা করা উচিত হবে না।
16 কাজেই অথলিয়াকে ধরা হল এবং ঘোড়া যেখান দিয়ে রাজবাড়ীর মাঠে ঢোকে তাঁকে সেখানে নিয়ে যাওয়ার পর হত্যা করা হল।