13 পাহারাদার ও লোকদের এই চিৎকার শুনে অথলিয়া মাবুদের ঘরে লোকদের কাছে গেলেন।
14 তিনি চেয়ে দেখলেন নিয়ম অনুসারে বাদশাহ্ থামের পাশে দাঁড়িয়ে আছেন। সেনাপতিরা ও শিংগা বাদকেরা বাদশাহ্র পাশে রয়েছে এবং দেশের সব লোক আনন্দ করছে ও শিংগা বাজাচ্ছে। এ দেখে অথলিয়া তাঁর পোশাক ছিঁড়ে চিৎকার করে বললেন, “এ তো বেঈমানী! বেঈমানী!”
15 তখন ইমাম যিহোয়াদা যাদের উপর সৈন্যদলের ভার ছিল সেই শত-সেনাপতিদের এই হুকুম দিলেন, “ওঁকে সৈন্যদের সারির মাঝখানে রেখে এখান থেকে বের করে নিয়ে যান। যে ওঁর পিছনে পিছনে আসবে তাকে হত্যা করবেন।” এর আগে তিনি হুকুম দিয়েছিলেন যে, মাবুদের ঘরের মধ্যে অথলিয়াকে হত্যা করা উচিত হবে না।
16 কাজেই অথলিয়াকে ধরা হল এবং ঘোড়া যেখান দিয়ে রাজবাড়ীর মাঠে ঢোকে তাঁকে সেখানে নিয়ে যাওয়ার পর হত্যা করা হল।
17 যিহোয়াদা তারপর মাবুদ এবং বাদশাহ্ ও লোকদের মধ্যে এই চুক্তি করলেন যে, তারা মাবুদের বান্দা হিসাবে চলবে। তিনি বাদশাহ্ ও লোকদের মধ্যেও একটা চুক্তি করলেন।
18 তারপর দেশের সব লোক বাল দেবতার মন্দিরে গিয়ে সেটা ভেংগে ফেলল। তারা সেখানকার বেদী ও মূর্তিগুলো ভেংগে টুকরা টুকরা করে ফেলল আর বাল দেবতার পুরোহিত মত্তনকে বেদীগুলোর সামনে হত্যা করল।পরে ইমাম যিহোয়াদা মাবুদের ঘরে পাহারাদার নিযুক্ত করলেন।
19 তারপর তিনি শত-সেনাপতিদের, রক্ষীদের, বাকী পাহারাদারদের এবং দেশের সব লোকদের সংগে নিয়ে মাবুদের ঘর থেকে বাদশাহ্কে বের করে আনলেন। তাঁরা পাহারদারদের দরজার মধ্য দিয়ে ঢুকে রাজবাড়ীতে গেলেন এবং বাদশাহ্কে রাজ-সিংহাসনে বসালেন।