13 পরে যিহোয়াশ তাঁর পূর্বপুরুষদের কাছে চলে গেলেন এবং তাঁর ছেলে ইয়ারাবিম তাঁর জায়গায় বাদশাহ্ হলেন। সামেরিয়াতে ইসরাইলের বাদশাহ্দের সংগে যিহোয়াশকে দাফন করা হয়েছিল।
14 এর আগে আল-ইয়াসা অসুখে পড়েছিলেন এবং সেই অসুখেই তিনি মারা গিয়েছিলেন। তিনি মারা যাওয়ার আগে ইসরাইলের বাদশাহ্ যিহোয়াশ তাঁকে দেখতে গিয়েছিলেন এবং কেঁদে কেঁদে বলেছিলেন, “হে আমার পিতা, আমার পিতা, রথ আর ঘোড়সওয়ারদের মত আপনি ইসরাইলের রক্ষাকারী।”
15-16 সেই সময় আল-ইয়াসা তাঁকে বললেন, “আপনি তীর-ধনুক নিয়ে আসুন।” তিনি তা আনলে পর আল-ইয়াসা বললেন, “ধনুক হাতে নিন।” তাতে তিনি তা হাতে নিলেন। পরে আল-ইয়াসা বাদশাহ্র হাতের উপর তাঁর হাত রেখে বললেন,
17 “পূর্ব দিকের জানালাটা খুলে দিন।” তিনি খুললেন। তারপর আল-ইয়াসা বললেন, “তীর ছুঁড়ুন।” যিহোয়াশ জানালা খুলে তীর ছুঁড়লেন। তখন আল-ইয়াসা ঘোষণা করলেন, “এটা হল মাবুদের জয়লাভের তীর, সিরিয়ার উপরে জয়লাভের তীর। আপনি অফেকে সিরীয়দের হারিয়ে দিয়ে সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস করে দেবেন।”
18 তারপর আল-ইয়াসা বললেন, “আপনি তীরগুলো হাতে নিন।” বাদশাহ্ সেগুলো হাতে নিলে পর আল-ইয়াসা বললেন, “মাটিতে আঘাত করুন।” বাদশাহ্ তিনবার আঘাত করে থামলেন।
19 তখন আল্লাহ্র বান্দা রাগ করে বললেন, “পাঁচ বা ছয়বার মাটিতে আঘাত করা আপনার উচিত ছিল; তাহলে আপনি সিরীয়দের সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস করতে পারতেন। কিন্তু এখন আপনি মাত্র তিনবার তাদের হারিয়ে দিতে পারবেন।”
20 পরে আল-ইয়াসা ইন্তেকাল করলেন এবং তাঁকে দাফন করা হল।প্রত্যেকবার বসন্তকালে মোয়াবীয় হানাদারেরা ইসরাইল দেশে ঢুকত।