17 “পূর্ব দিকের জানালাটা খুলে দিন।” তিনি খুললেন। তারপর আল-ইয়াসা বললেন, “তীর ছুঁড়ুন।” যিহোয়াশ জানালা খুলে তীর ছুঁড়লেন। তখন আল-ইয়াসা ঘোষণা করলেন, “এটা হল মাবুদের জয়লাভের তীর, সিরিয়ার উপরে জয়লাভের তীর। আপনি অফেকে সিরীয়দের হারিয়ে দিয়ে সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস করে দেবেন।”
18 তারপর আল-ইয়াসা বললেন, “আপনি তীরগুলো হাতে নিন।” বাদশাহ্ সেগুলো হাতে নিলে পর আল-ইয়াসা বললেন, “মাটিতে আঘাত করুন।” বাদশাহ্ তিনবার আঘাত করে থামলেন।
19 তখন আল্লাহ্র বান্দা রাগ করে বললেন, “পাঁচ বা ছয়বার মাটিতে আঘাত করা আপনার উচিত ছিল; তাহলে আপনি সিরীয়দের সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস করতে পারতেন। কিন্তু এখন আপনি মাত্র তিনবার তাদের হারিয়ে দিতে পারবেন।”
20 পরে আল-ইয়াসা ইন্তেকাল করলেন এবং তাঁকে দাফন করা হল।প্রত্যেকবার বসন্তকালে মোয়াবীয় হানাদারেরা ইসরাইল দেশে ঢুকত।
21 একবার বনি-ইসরাইলরা যখন একজনকে দাফন করছিল তখন হঠাৎ একদল হানাদারকে দেখে তারা লাশটা আল-ইয়াসার কবরে ফেলে দিল। লোকটার লাশ আল-ইয়াসার হাড়গুলোতে ছোঁয়া লাগা মাত্রই বেঁচে উঠে পায়ে ভর দিয়ে দাঁড়াল।
22 যিহোয়াহসের সমস্ত রাজত্বকাল ধরেই সিরিয়ার বাদশাহ্ হসায়েল ইসরাইলের উপর জুলুম করেছিলেন।
23 কিন্তু মাবুদ ইব্রাহিম, ইসহাক ও ইয়াকুবের জন্য যে ব্যবস্থা স্থাপন করেছিলেন সেইজন্য তিনি বনি-ইসরাইলদের উপর রহমত ও মমতা করলেন এবং তাদের দিকে মনোযোগ দিলেন। আজ পর্যন্তও তাদের ধ্বংস করে ফেলতে কিংবা নিজের সামনে থেকে দূর করে দিতে তিনি চান নি।