29 ইউসিয়ার রাজত্বের সময়ে মিসরের বাদশাহ্ ফেরাউন্তনেখো আশেরিয়ার বাদশাহ্কে সাহায্য করবার জন্য ফোরাত নদীর দিকে গেলেন। তখন বাদশাহ্ ইউসিয়া তাঁর সংগে যুদ্ধ করবার জন্য বের হলেন, কিন্তু ফেরাউন্তনেখো তাঁর সংগে যুদ্ধ করে তাঁকে মগিদ্দোতে হত্যা করলেন।
30 ইউসিয়ার সৈন্যেরা তাঁর লাশটা রথে করে মগিদ্দো থেকে জেরুজালেমে নিয়ে এসে তাঁর নিজের জন্য ঠিক করা কবরে তাঁকে দাফন করল। পরে দেশের লোকেরা তাঁর ছেলে যিহোয়াহসকে অভিষেক করে তাঁর পিতার জায়গায় তাঁকে বাদশাহ্ করল।
31 তেইশ বছর বয়সে যিহোয়াহস বাদশাহ্ হলেন। তিনি তিন মাস জেরুজালেমে রাজত্ব করেছিলেন। তাঁর মায়ের নাম ছিল হমূটল; তিনি ছিলেন লিব্না শহরের ইয়ারমিয়ার মেয়ে।
32 যিহোয়াহস তাঁর পূর্বপুরুষদের মতই মাবুদের চোখে যা খারাপ তা-ই করতেন। ফেরাউন্তনেখো তাঁকে হামা দেশের রিব্লাতে আটক করে রাখলেন যাতে তিনি জেরুজালেমে রাজত্ব করতে না পারেন।
33 ফেরাউন্তনেখো প্রায় চার টন রূপা ও ঊনচল্লিশ কেজি সোনা খাজনা হিসাবে এহুদা দেশের উপর চাপিয়ে দিলেন।
34 তিনি ইউসিয়ার আর এক ছেলে ইলিয়াকীমকে তাঁর পিতা ইউসিয়ার জায়গায় বাদশাহ্ করলেন এবং ইলিয়াকীমের নাম বদলে যিহোয়াকীম রাখলেন। ফেরাউন্তনেখো যিহোয়াহসকে মিসরে নিয়ে গেলেন, আর সেখানে যিহোয়াহস ইন্তেকাল করলেন।
35 ফেরাউন্তনেখোর দাবি অনুসারে যিহোয়াকীম তাঁকে সেই সোনা ও রূপা দিলেন। তা দেওয়ার জন্য তিনি দেশের লোকদের উপর খাজনা চাপালেন এবং দেশের প্রত্যেকের খাজনা ঠিক করে দিয়ে সেই সোনা ও রূপা তিনি দেশের লোকদের কাছ থেকে আদায় করলেন।