4 বাদশাহ্ তখন আল্লাহ্র বান্দার চাকর গেহসির সংগে কথা বলছিলেন। তিনি তাকে বলছিলেন, “আল-ইয়াসা যে সব বড় বড় কাজ করেছেন তা আমাকে বল।”
5 গেহসি যখন বাদশাহ্কে বলছিল কেমন করে আল-ইয়াসা মৃতকে জীবিত করেছিলেন ঠিক সেই সময়ে যে স্ত্রীলোকটির ছেলেকে আল-ইয়াসা মৃত্যু থেকে জীবিত করেছিলেন সেই স্ত্রীলোকটি বাদশাহ্র কাছে তাঁর বাড়ী ও জমি ফিরে পাওয়ার জন্য মিনতি করতে আসলেন।গেহসি তখন বলল, “হে আমার প্রভু মহারাজ, ইনিই সেই স্ত্রীলোক এবং এ-ই তাঁর ছেলে যাঁকে আল-ইয়াসা বাঁচিয়ে তুলেছিলেন।”
6 বাদশাহ্ তখন স্ত্রীলোকটিকে সেই বিষয়ে জিজ্ঞাসা করলে পর তিনি তাঁকে সব কথা বললেন।এতে বাদশাহ্ সেই স্ত্রীলোকটির ব্যাপারে একজন কর্মচারীকে নিযুক্ত করে তাকে বললেন, “তার সব কিছু তাকে ফিরিয়ে দাও আর সে দেশ ছেড়ে যাবার পর থেকে আজ পর্যন্ত তার জমি থেকে যা আয় হয়েছে তাও ফিরিয়ে দাও।”
7 এরপর আল-ইয়াসা দামেস্কে চলে গেলেন। সেই সময় সিরিয়ার বাদশাহ্ বিন্হদদ অসুস্থ ছিলেন। বাদশাহ্কে বলা হল, “আল্লাহ্র বান্দাটি এখানে এসেছেন।”
8 বাদশাহ্ তখন হসায়েলকে বললেন, “তুমি একটা উপহার নিয়ে আল্লাহ্র বান্দার সংগে দেখা করতে যাও। তাঁর মধ্য দিয়ে মাবুদের কাছ থেকে জেনে নাও যে, আমি এই অসুখ থেকে ভাল হয়ে উঠব কি না।”
9 হসায়েল তখন উপহার হিসাবে দামেস্কের সবচেয়ে ভাল ভাল জিনিস চল্লিশটা উটের পিঠে বোঝাই করে নিয়ে আল-ইয়াসার সংগে দেখা করতে গেলেন। তিনি আল-ইয়াসার সামনে দাঁড়িয়ে তাঁকে বললেন, “আপনার পুত্র সিরিয়ার বাদশাহ্ বিন্হদদ এই কথা জিজ্ঞাসা করতে আমাকে পাঠিয়েছেন যে, তিনি এই অসুখ থেকে ভাল হবেন কি না।”
10 জবাবে আল-ইয়াসা বললেন, “তুমি গিয়ে তাঁকে বল যে, তিনি নিশ্চয়ই ভাল হয়ে উঠবেন, কিন্তু মাবুদ আমার কাছে প্রকাশ করেছেন যে, আসলে তিনি মারা যাবেন।”